সময় মত অ্যাম্বুলেন্স না আসাতেই নাকি মৃত্যু হয়েছে মারাদোনার। মহাতারকার প্রয়াণের ৪৮ ঘন্টা পরেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিয়েগো মারাদোনার আইনজীবী এবং এজেন্ট ম্যাতিয়াস মোরলা দাবি করেছেন, মারাদোনার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স দেরিতে এসেছিল কিনা, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হোক।
বুধবারই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে মৃত্যু ঘটে মারাদোনার। বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স বুয়েন্স আয়ার্সের শহরতলির রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স কাউন্টি ক্লাব সান আন্দ্রেসে এসেছিল। দু সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয় মারাদোনার। তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এই কমপ্লেক্সেই রিকভারি চলছিল কিংবদন্তির। যদিও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই প্রয়াত হন তিনি।
আরো পড়ুন: মারাদোনার সঙ্গে একটাও ছবি নেই! আক্ষেপ নিয়েই কফিনবন্দি দিয়েগোর ‘শিক্ষক’
সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাদোনার এজেন্ট মোরলা একটি পোস্ট করেন। যেখানে লেখা, সান ইসিদ্রো ডিস্ট্রিক্ট এটর্নির রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে আধ ঘন্টার বেশি সময় লাগে। এই ঘটনাকে তিনি 'অপরাধমূলক নির্বুদ্ধিতা' বলে তোপ দেগেছেন। সেই সঙ্গে আরো বলেন, "এই ঘটনা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। তদন্ত চালিয়ে শেষটা দেখা হোক।"
আরো পড়ুন: প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন মারাদোনা, মৃত্যুর সময় কত টাকার মালিক ছিলেন
মারাদোনার মৃত্যুতে গোটা বিশ্বেই শোকের আবহ। হাজার হাজার আর্জেন্টাইন রাজধানীর কাসা রোসাদায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে শেষ সম্মান জানাতে জড়ো হন।
রাজধানীর সমস্ত বড় বড় ফেন্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কাতারে কাতারে ফুটবল ভক্তদের আগমনের জন্য এই কান্ড। মারাদোনার কফিন মুড়ে ফেলা হয়েছে দেশ আর্জেন্টিনা এবং বোকা জুনিয়র্সের জার্সিতে।
শোকাচ্ছন্ন মোরলা বলেছেন, "এই দিন প্রবল দুঃখের, যন্ত্রণার। বন্ধুর শেষ যাত্রায় আমার হৃদয় ভারী হয়ে উঠেছে। বন্ধুর শেষ দিন পর্যন্ত আমি অনুগত ছিলাম।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন