অবশেষে ক্ষমা চেয়ে নিতে বাধ্য হলেন দীনেশ কার্তিক। ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন কমেন্ট্রি করার সময়ে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ কেকেআর দলনেতা। তারপরেই রবিবার অন এয়ার ক্ষমা চেয়ে নেন তারকা ব্যাটসম্যান।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে রাতারাতি খ্যাতির তুঙ্গে ওঠেন দুরন্ত বিশ্লেষণী ক্ষমতার জন্য। তবে তারপরেই স্কাই স্পোর্টসের হয়ে ধারাভাষ্যকার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড সিরিজে। সেই সিরিজেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন কার্তিক।
আরো পড়ুন: ‘পরের স্ত্রী’কে নিয়ে কুৎসিত ইঙ্গিত কার্তিকের! সরাসরি উঠল শাস্তির দাবি
আসলে কার্তিক ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন অন-এয়ার। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, কীভাবে ব্যাটসম্যানরা নিজের ব্যাট নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেও অন্য ক্রিকেটারদের সরঞ্জাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে। সেই বিষয় ব্যাখ্যা করার সময়েই কার্তিক জানান, ব্যাটসম্যানদের কাছে অন্যের ব্যাট পড়শীর স্ত্রী-র মত। “ব্যাট হল প্রতিবেশীর স্ত্রীর মত। যেটা সবসময়েই ভাল লাগে। অধিকাংশ ব্যাটসম্যান নিজের ব্যাটের বদলে অন্যের ব্যাট নেয়।” বলছিলেন কার্তিক।
তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যারাকিংয়ের শিকার হন কার্তিক। প্রবল সমালোচিত হন তিনি। তাঁর মত একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে যে এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত, তা সরাসরি নেটিজেনরা জানাতে থাকেন।প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন তিনি। এমনটাও দাবি ওঠে। নেটিজেনদের একাংশ কার্তিকের হয়ে সাফাই গেয়ে ‘মজা’ হিসাবেই গ্রহণ করতে বলেছেন। যদিও একাংশের দাবি, কার্তিক আসলে আমাদের সমাজের প্রকৃত চিত্রটাই তুলে ধরেছেন, যেখানে নারীদের পণ্য হিসাবে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ জিততে ধোনি-শচীনদের সঙ্গমের পরামর্শ! বিস্ফোরক তথ্য এবার জানাজানি প্রকাশ্যে
এরপরেই বিতর্ক দূরে সরিয়ে তিন দিনের মাথায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিলেন কার্তিক। শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন স্কাই স্পোর্টসের কমেন্ট্রি বক্সে ফিরেই কার্তিক বলে দেন, "গত ম্যাচে যা ঘটেছে তাঁর জন্য ভীষণভাবে দুঃখিত। যা অর্থ বের করা হচ্ছে, সেরকমটা মোটেও অভিপ্রায় ছিল না। একদম ভুল হয়ে গিয়েছে। এরজন্য সকলের কাছে দুঃখিত। অবশ্যই এরকম বলা উচিত হয়নি আমার। এরকম মন্তব্যের জন্য স্ত্রী এবং মা-য়ের কাছেও বকা হজম করেছি। এরকম ঘটনা আর ঘটবে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন