কুলোথাঙ্গানের খবরে ভেঙে পড়েছেন দীপঙ্কর, ফোন করেছিলেন সুরেশকেও

আজ সকালেই খবরটা চলে আসে সকলের কাছে। ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়ামহলে। এদিন সকালে সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। ওখানেই প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুসংবাদটা পান।

আজ সকালেই খবরটা চলে আসে সকলের কাছে। ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়ামহলে। এদিন সকালে সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। ওখানেই প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুসংবাদটা পান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Deepankar Roy

কুলোথাঙ্গানের খবরটা পেয়ে মন ভাল নেই দীপঙ্করের, ফোন করেছিলেন সুরেশকেও (ছবি: ফেসবুক/দীপঙ্কর রায়)

দীপঙ্কর রায়ের ফেসবুক পেজে জ্বলজ্বল করছে আশিয়ান কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গল টিমের একটা ছবি। সেখানে মধ্যমণি হয়ে রয়েছেন কালিয়া কুলোথাঙ্গান, গত রাতেই যিনি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আজ সকালেই খবরটা চলে আসে সকলের কাছে। ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়ামহলে। এদিন সকালে সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। ওখানেই প্রাক্তন সতীর্থর মৃত্যুসংবাদটা পান। তারপর থেকেই মন ভাল নেই ময়দানের দীপুর।

Advertisment


নিজের ফেসবুকে দীপঙ্কর লিখেছেন, "শান্তিতে থেকো বন্ধু। বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি আর নেই। আজ ভারত তার অন্যতম সেরা ফুটবলারকে হারাল। অনেক স্মৃতি রয়েছে একসঙ্গে। অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি। ভালবাসা নিও কুলু। আজীবন তুমি আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে। তোমার পরিবারের শক্তি কামনা করি।"

কুলোথাঙ্গানের সঙ্গে দীপঙ্কর একই জার্সিতে অনেকগুলো বছর কাটিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। ফোনে দীপঙ্কর বললেন, "ওর মতো স্কিলফুল প্লেয়ার খুব কম দেখেছি। বল রিসিভ থেকে পাসিং, দুর্দান্ত ছিল। মনে পড়ে না, তামিলনাড়ু থেকে আর ক’জন ফুটবলার এরকম দাপটের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলে খেলেছে!" বিশেষ স্মৃতি বলতে এখনও দীপঙ্করের মনে পড়ে, কুলোথাঙ্গান ইস্টবেঙ্গলে এসেছিলেন জন্ডিস নিয়েই। দীপঙ্কর আরও বলেছেন, "ক্লাবের হয়ে প্রায় সব ট্রফিই জিতেছে ও। আমার ক্যাপ্টেনসিতেও খেলেছে। মানুষ হিসেবেও খুব ভাল ছিল।"

আরও পড়ুন: প্রয়াত আশিয়ান কাপ জয়ী ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার কুলোথাঙ্গান

Advertisment

দীপঙ্কর স্মৃতিচারণা করতে গিয়েই বলছেন যে, ইস্টবেঙ্গলে এম সুরেশ ছিলেন কুলোথাঙ্গানের প্রিয় বন্ধু। দু’জনের ভাষাটা এক ছিল বলেই সম্পর্কটা ভাল ছিল হয়ত। আজ সুরেশকে ফোন করেছিলেন দীপঙ্কর। সুরেশই জানান, যে কুলোথাঙ্গান রাতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ওখান থেকে ফেরার পথেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। কুলোথাঙ্গানের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল সুরেশের। কিন্তু যেতে প্রায় একটা গোটা দিন লেগে যাবে বলেই দীপঙ্করকে জানান সুরেশ।

Eastbengal