ইউনাইটেড স্পোর্টস, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, এটিকে। তারপর? জানেন না জ্যর মিরান্দা গার্সিয়া। আপাতত তিনি কাষ্ঠবেকার! মরশুম শেষ। ভারতীয় ফুটবলের পরবর্তী গতিপথ কী হবে, জানা নেই ফেডারেশন কর্তাদেরই। প্রশ্নচিহ্ন জমা হচ্ছে পরপর। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে ডামাডোল। ইস্টবেঙ্গলে ক্লাব কর্তা বনাম বিনিয়োগকারী সংস্থার দূরত্ব প্রকট। মধুচন্দ্রিমা কেটে গিয়েছে। সাংসারিক দায়-দায়িত্ব নিয়ে চাপান-উতোর চলছে। আর মোহনবাগানে তো স্পনসর কিংবা ইনভেস্টরই নেই। দুই প্রধানেরই সমর্থকরা তিতিবিরক্ত, হতাশ। আইএসএল খেলা এটিকে-ও তথৈবচ। ব্রিটিশ কোচের ফর্মুলাতেও এবারে সাফল্য দুর অস্ত।
আরও পড়ুন জবি-কাণ্ডের পরে এবার ফেডারেশনের সম্ভাব্য় শাস্তির মুখে ইস্টবেঙ্গল, তুঙ্গে সংঘাত
জবি যুদ্ধে নাছোড় ইস্ট-এটিকে, বিতর্কের মধ্যেই তারকার গলায় উত্তেজনা
কিংবদন্তি কান্ননের স্ট্রোক, চিন্তায় ফুটবল মহল
সবমিলিয়ে কলকাতা ফুটবলের যখন এই হাল, তখনই নিঃশব্দেই ভারতীয় ফুটবলে অতীত হয়ে যেতে চলেছেন ব্রাজিলিয়ান ফিটনেস ট্রেনার। শেষ মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন এটিকে-তে। সেখানেই একবছরের চুক্তি ছিল গার্সিয়ার সঙ্গে। সেই চুক্তি শেষেই আপাতত দরজা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে গার্সিয়াকে। চুক্তি নবীকরণ করা হচ্ছে না ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে। সূত্রের খবর এমনটাই।
জানা গিয়েছে, শুধু এটিকে-ই নয়, আইলিগ ও আইএসএল মিলিয়ে ভারতীয় কোনও ফুটবল ক্লাবের তরফেও কোনও প্রস্তাব নেই গার্সিয়ার কাছে। গত সপ্তাহেই ব্রাজিলে ফিরে গিয়েছেন গার্সিয়া। আপাতত সেখানেই অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। নতুন প্রস্তাবের।
গার্সিয়ার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র তরফে ব্রাজিলীয় ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সাফ বলে দেন, "১০ বছরের বেশি হয়ে গেল ভারতীয় ক্লাবের সঙ্গে আমি যুক্ত। তবে এবারের মতো কোনও মরশুমে প্রস্তাব-শূন্য থাকিনি। ভীষণই খারাপ লাগছে।" সেই সঙ্গেই গার্সিয়ার গলায় হতাশা মেশানো অভিমান, "ভারতকে মন থেকে ভালবাসি, নিজের দেশের মতোই। তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো ভারতে আর থাকা হবে না। ব্রাজিলের কিছু স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।"
সদাহাস্যময় গার্সিয়া কলকাতা ফুটবলের পরিচিত মুখ। কার্যত অজাতশত্রু গার্সিয়াকে যদি পরের মরশুমে দেশের ফুটবলে না দেখা যায়, তাহলে নীরবেই এক পালাবদলের সাক্ষী থাকবে শহরের ফুটবল।