Musheer Khan in Duleep Trophy: দলীপ ট্রফিতে ভারত এ বনাম ভারত বি-এর ম্যাচে মুশির খানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুষড়ে পড়েছেন শুভমান গিল। ১৯ বছরের মুশির ইন্ডিয়া বি-এর ব্যাটার। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত এ-এর বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফি ম্যাচের প্রথম দিনে নড়বড়ে শুরু করেছিলেন। কিন্তু, অন্য প্রান্তে উইকেট পড়ে যাওয়া দেখে, তাঁর দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন।
দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজে, মুশিরের আত্মবিশ্বাসে এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি কেবল লফ্টেড স্ট্রোকই খেলেননি। ভারত এ-এর বোলারদেরও রীতিমতো টিজ করেন। এই টিজ করতে তিনি ফাস্ট বোলারদের কাছে হেঁটে গিয়েছেন। পাশাপাশি, ক্রিজের বাইরে থাকাকালীন স্টাম্পে বল ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য আভেশ খান এবং আকাশ দীপদের ভেঙান।
মুশিরের সাহসিকতা ভারত এ দলের অধিনায়ক শুভমান গিলকে রীতিমতো হতাশ করে তোলে। গিলকে দেখা যায় তাঁর কিপার ধ্রুব জুরেলকে বলছেন, অ্যাকশনে ঠিকঠাক বসতে এবং মুশিরকে রান আউট করতে। অনেকেই গিলের এই সব কথার জন্য মুশিরের আচরণকেই দায়ী করেছেন। গিলের উত্তেজিত হওয়ার আরও কারণ ছিল। তা হল, ভারত বি-এর ভালো রানের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এক সময় ভারত বি ৭ উইকেটে ৯৪ ছিল। সেখান থেকে ভারত এ বোলাররা মুশির এবং নবদীপ সাইনিকে আউট করতে ব্যর্থ হন। দু'জনে মিলে অষ্টম উইকেটে ২০৫ রানের জুটি গড়েন। যা ভারত বি-কে ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন- শচীনের রেকর্ড খানখান মুশিরের ব্যাটে! দলীপে তান্ডব চালিয়ে উত্তরসূরির স্পর্ধা ১৯ বছরের তরুণের
মুশির, ১০৫ রান করার পর আবার স্ট্রোক নেওয়া শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৮১ রান করেন। আর, নবদীপ সাইনি উইকেটের অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। ভারত এ দলের বোলাররা একাধিকবার মুশিরকে আউট করার পর্যায়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিবারই ডিআরএস মুশিরকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। মাঠের আম্পায়াররা তো মুশিরকে দু'বার ক্যাচ আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, মুম্বই ব্যাটার ডিআরএস বেছে নেওয়ায় সিদ্ধান্তগুলো বদলে যায়।
এই ব্যাপারে মুশির পোস্ট-ডে প্রেস মিটে বলেছেন, 'আমি রান নিয়ে বেশি চিন্তা না করে যতটা সম্ভব বেশি বল খেলতে চেয়েছিলাম। আমি সারা দিন ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। আর, আমি এটি সেশন বাই সেশন নিচ্ছিলাম। আমি যখন ব্যাট করতে আসি তখন বল সুইং করছিল এবং কাটছিল। সুতরাং, আমি যতটা সম্ভব আমার শরীরের কাছাকাছি বল খেলার চেষ্টা করছিলাম। আর, ঝুঁকিপূর্ণ শটগুলি এড়াতে চাইছিলাম। আমি জানতাম রান শেষ পর্যন্ত আসবেই।'