Arshdeep Singh-Riyan Parag in Duleep Trophy: দলীপ ট্রফির ম্যাচে আরশদীপ সিং ও রিয়ান পরাগের টক্কর ম্যাচের আকর্ষণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। এই টক্কর কতটা প্রবল ছিল, তা পরাগ আউট হওয়ার পর আরশদীপের প্রতিক্রিয়াই তা স্পষ্ট করে দিল। পরাগ তাঁর বলে চারটি চার মারার পরে ভারত এ-এর ব্যাটারকে আউট করে অবশ্য শেষ হাসি আরশদীপই হেসেছেন। আর, আউটের পর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় বুঝিয়ে দিলেন তাঁর যুদ্ধজয়ের অনুভূতি।
এই ম্যাচে যদি সাদা পোশাক আর লাল বল না থাকত, তাহলে রিয়ান পরাগ ক্রিজে থাকা পর্যন্ত ভারত এ বনাম ভারত ডি-এর দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ এবং টি-২০ ম্যাচের মধ্যে ফারাক করা কঠিন হয়ে পড়ত। লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেছেন, এই ধরনের ইনিংসের বিশেষত্ব হল- স্ট্রোক বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত, চরম উত্তেজনা থাকে। আউট হয়ে গেলে মনে হয় একটা কিছু শেষ হয়ে গেল। তখন আর বাকি খেলার প্রতি কোনও আগ্রহ থাকে না।
কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে পরাগের কাছে এই ধরনের ইনিংস নতুন না। তিনি আসলে ক্রিকেটের জেনারেশন জেড। তার মানে এই নয় যে তিনি গ্রামার মেনে শট নেন না। তবে, নিজস্ব ব্যাটিং কায়দাও চালান। ভারত বি-এর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে পরাগ এভাবে প্রথম ইনিংসে ৩০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ করেছিলেন। রাজস্থান রয়্যালসের এই ক্রিকেটার ইন্ডিয়া ডি-এর দ্রুততম বোলার বিদওয়াথ কাভেরাপ্পাকে সোজাসুজি ছক্কা মেরেছেন।
আর, ভারতের আন্তর্জাতিক পেসার আরশদীপ সিংকে এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। বাধ্য হয়ে পরাগের বিরুদ্ধে কৌশল বদলাতে বাধ্য হন আরশদীপ। তিনি পরাগকে শর্টপিচ বল করে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, অসমের পরাগ তার জন্য যেন তৈরি ছিলেন। বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন। পরাগ অফ-স্পিনার সারাংশ জৈনকেও বেধড়ক পিটিয়েছেন।
আরশদীপ আন্তর্জাতিক সার্কিটে আড়াই বছর কাটিয়েছেন। টি-২০ ফরম্যাটে জাতীয় দলে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন। এসবই তাঁকে শিখিয়েছে কীভাবে এমন ঘটনায় আক্রমণে ফিরে আসতে হয়। পরাগের বিরুদ্ধে তাঁর দ্বিতীয় ওভারের মাঝখানে, তিনি লেংথ মেনে বল করা শুরু করেন। তারই মধ্যে কোণাকুণি বলও করেছিলেন। পরাগ সুযোগ পেয়ে মারতে যেতেই স্লিপে দেবদত্ত পাড়িক্কলের হাতে ধরা পড়েন।
আরও পড়ুন- ভারত-সিরিজের আগেই জোরালো ধাক্কায় চুরমার বাংলাদেশ! সেরার সেরা তারকাকে ইন্ডিয়ায় আনতে ব্যর্থ টাইগাররা
তখন পরাগ ২৯ বলে ৩৭। তাঁকে আউট করার পরই আরশদীপের প্রতিক্রিয়া ছিল দেখার মত। তিনি চিৎকার করে ওঠেন। এমনভাবে হাত-পা নাড়ান, চিৎকার করে ওঠে্ন যেন, বহু কষ্টে যা চাইছিলেন, সেই সাফল্যকে অবশেষে অর্জন করলেন।