ইস্টবেঙ্গলঃ ২ আর্মি রেডঃ ০
(কোলাডো, বিদ্যাসাগর সিং)
জবি জাস্টিন ক্লাব ছেড়েছেন। বিদেশি স্ট্রাইকাররা কবে আসবেন ঠিক নেই! এমন অবস্থায় মরশুমের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খাওয়া থেকে বাঁচল ইস্টবেঙ্গল। হৃৎকম্প বাড়িয়ে কোলাডোর শেষ মুহূর্তের গোলে কোনও রকমে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। সময় যত গড়াচ্ছিল, ততই চাপ বাড়ছিল ইস্টবেঙ্গলের। গ্যালারিতে বসে থাকা কয়েকশো সমর্থকের চোখে মুখে টেনশন বাড়ছিল ঘড়ির কাঁটা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে। তাঁদেরই স্বস্তি দিয়ে ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে গোল কোলাডোর। তারপরে শেষ মুহূর্তে লিড বাড়ান বিদ্যাসাগর সিং।
যুব বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে খেলা অভিজিৎ সরকারকে এই বছরেই সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে সামনে রেখে এদিন দল সাজিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। প্রথম একাদশে জোড়া বিদেশি। স্টপারে বোরহা এবং ফ্লোয়িং পজিশনে কোলাডো। যুব দলে খেলে আসা গোলকিপার মাওইয়া এবং রোহলুপুইয়াও এদিন প্রথম একাদশে।
আরও পড়ুন “ওরা যেতে চাইলে যাক, তখন দেখা যাবে!” কোয়েস প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কর্তা
হাবাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইস্টবেঙ্গল কোচের! শতবর্ষের আবহেই চমক ময়দানে
শতবর্ষের আগেই কী ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ ইস্টবেঙ্গল-কোয়েসের, জল্পনা তুঙ্গে
পরীক্ষা নিরীক্ষার একাদশ যে খুব সফল, তা বলা যাবে না। মাঝমাঠ অবিন্যস্ত। আক্রমণেও গোল করার লোকের অভাব। সমর্থকরা ভাবতে শুরু করেছিলেন, কোনও গোল না করেইহয়তো মাঠ ছাড়তে হবে প্রিয় লাল-হলুদ ফুটবলারদের। তবে মানরক্ষা হল একদম শেষদিকে। প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল। দ্বিতীয়ার্ধে সামান্য প্রত্যাবর্তন। গোটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের নির্যাস আপাতত এটাই। ভাল গোলগেটারের অভাবে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোল হল না প্রথমার্ধে। তার উপরে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল ভাগ্যও। বিরতির আগেই কোলাডো এবং বৈথাংয়ের জোড়া শট বারপোস্টে লাগে। সেনাদের এদিনের একাদশেই রয়েছে সন্তোষ জয়ী সার্ভিসেসের পাঁচ ফুটবলার। তাঁরা বারেবারেই বিপাকে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলকে।
বিরতির পরে কোচ জোড়া পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন অভিজিৎ সরকার এবং রোহলুপুইয়াকে বসিয়ে নামিয়ে দেন পিন্টু মাহাতো এবং কাশিম আইদারাকে। বিরতির পরে ম্যাচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণে পায়ের ভিড় বাড়াচ্ছিল সেনাবাহিনীর দলটি। তবে দুই প্রান্ত থেকে সামাদ এবং মনোজ মহম্মদ ওভার ল্যাপে উঠে আসছিলেন। চাপ বাড়ছিল ক্রমাগত সেনাবাহিনীর রক্ষণে।
সেই চাপের কাছেই নতি স্বীকার করে অবশেষে ৮৫ মিনিটে বিশ্বমানের ফ্রিকিকে গোল হাইমে কোলাডোর। টুর্নামেন্টের শুরুতেই মোহনাবাগান স্বচ্ছন্দে হারিয়েছে মহামেডানকে। ইস্টবেঙ্গলকে জিততে হল যথেষ্ট ঘাম ঝড়িয়ে। কোলাডো এবং বিদ্যাসাগর সিংয়ের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের।
ইস্টবেঙ্গলঃ মাওইয়া, বোরহা গোমেজ, হাইমে স্যান্টোস, অভিজিৎ সরকার (পিন্টু মাহাতো), বৈথাং হাওকিপ, লালরিন্ডিকা, সামাদ আলি মল্লিক, মেহতাব সিং, ব্রেন্ডন, মনোজ মহম্মদ, রোহলুপুইয়া (কাশিম আইদারা)
আর্মি রেডঃ জোথানপুইয়া, সুরেশ এম, সুনীল বি, জৈন পি, অলউইন (বিকাশ থাপা), মুকেশ কুমার, কামারদীপ সিং, ইয়াখোম রান্ধান, লিন্টন শিল, এম শানুস