শনিবার ডুরান্ড কাপের প্ৰথম ম্যাচে বিশ্রী হার হজম করছে এটিকে মোহনবাগান। তারকা খচিত দল নিয়েও রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে ৩ গোল হজম করেছে মেরিনার্সরা। বুধবার বি-গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে কার্যত মরণ বাঁচন ম্যাচে ফেরান্দোর ছেলেরা মুখোমুখি হচ্ছে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে। প্ৰথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে শক্তিশালী মুম্বইকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফেরাই আপাতত লক্ষ্য ফেরান্দোর।
ম্যাচের ঠিক আগের দিন এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে ফেরান্দো বলে দিলেন, “প্ৰথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের পর সদস্য সমর্থকদের মত আমিও কষ্ট পেয়েছি। তবে হতাশ নই। কারণ আমরাও গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। গোলগুলো কাজে লাগাতে পারলে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। হয়ত ৭-১ বা ৬-০। আমাদের প্রত্যেকটি গোলের পিছনেই সামান্য ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে। গোল করা এবং গোল আটকানো দুই বিভাগেই আমাদের উন্নতির প্রয়োজন। অনুশীলনে এই ভুল শুধরানোর চেষ্টা করেছি সবাই।"
আরও পড়ুন: স্পেনে জন্ম এই অস্ট্রেলিয়ান তারকাই ইস্টবেঙ্গলের ষষ্ঠ বিদেশি! নাম ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা
সামনে এবার মুম্বই সিটি এফসি। প্ৰথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে ইন্ডিয়ান নেভিকে চূর্ণ করেছিল মুম্বই। সেই জন্যই বাড়তি সতর্কতা ফেরান্দোর গলায়। তিনি বলে দিয়েছেন, "মুম্বই সিটি পুরো শক্তি নিয়ে খেলছে। যথেষ্ট হেভিওয়েট দল ওঁরা। লিগের প্ৰথম ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে মুম্বই। তবে নিজের দলের চরিত্র আমি জানি। গত এএফসি কাপেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কোনও চাপ নেই। গোলের প্রচুর সুযোগ আসবে। সেগুলো যেমন কাজে লাগাতে হবে। তেমন রক্ষণকেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।"
মরসুমের প্ৰথম ম্যাচেই হার হজম করায় এটিকে মোহনবাগান সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। তবে মেরিনার্সদের ধৈর্য্য ধরার বার্তা দিয়ে স্প্যানিশ কোচ বলছেন, "সবেমাত্র মরশুম শুরু হয়েছে। দলকে সংগঠিত হওয়ার জন্য একটু সময় দিতে হবে। সবুজ মেরুন সমর্থকদের কাছে আমার অনুরোধ, দলের ওপর আস্থা রাখুন। ধৈর্য্য ধরুন। দলে কয়েকজন নতুন বিদেশি যেমন এসেছে, তেমন কয়েকজন ভারতীয়কেও যুক্ত করা হয়েছে। ওঁদেরকে দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।"
আরও পড়ুন: কনস্টানটাইনের কোচিং স্টাফে এবার হাইপ্রোফাইল তারকা! ডার্বির আগেই হয়ত বড় ঘোষণা ইস্টবেঙ্গলে
এএফসি কিংবা আইএসএলের মত বড় টুর্নামেন্টের আগে কোচ ফেরান্দো ডুরান্ডের মত টুর্নামেন্টে নতুন ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার পথে হাঁটবেন। নিজের এই স্ট্রাটেজি স্পষ্ট করে ফেরান্দো জানাচ্ছেন, "জুনিয়র ফুটবলারদের খেলিয়ে কোনও ভুল করছি না। ওঁদের এখন থেকেই খেলিয়ে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ওঁদেরকেও আস্থা জোগানো হচ্ছে। প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে না আনলে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষতি। দলের কম্বিনেশন ঠিক করার জন্য ডুরান্ডে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেই হবে। পরের টুর্নামেন্টের জন্য রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি রাখার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এএফসি কাপ, আইএসএল বা সুপার কাপে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যাবে না।"