আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা বললেন ডোয়েন ব্র্যাভো। দীর্ঘ ১৪ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানলেন ক্যারিবিয়ান অলারউন্ডার। দেশের জার্সিতে সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ব্র্যাভো। যদিও ৩৫ বছরের ক্রিকেটারকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিৃ২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেটে দেখা যাবে।
২০০৪ সালে দ্বীপপুঞ্জের দেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন ব্র্যাভো। ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে ৪০ বার দেশের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। ১৬৪টি ওয়ান-ডে ম্যাচ ও ৬৬টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন ব্র্যাভো। শেষ দু’বছর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি ব্র্যাভোকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উইন্ডিজের হয়ে আবু ধাবিতে খেলেছিলেন ২০১৬ সালে। ২০১০-এ শেষবার টেস্টে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের পর আর ওয়ান-ডে ম্যাচ খেলেননি তিনি।
আরও পড়ুন: আইপিএল ২০১৮: ব্র্যাভো-ভাজ্জির কালা-চশমায় মুগ্ধ বিলিংস-রায়না
অবসরের প্রসঙ্গে ব্র্যাভো বললেন, “আজ আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাট থেকে বিদায় ঘোষণা করছি। ১৪ বছর আগে দেশের জার্সিতে অভিষেক করেছিলাম আমি। আজও মনে আছে ২০০৪ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে আমার হাতে মেরুন ক্যাপ উঠেছিল। যে উদ্দীপনা আর প্যাশন তখন আমার মধ্যে ছিল সেটাই আজীবন আমার কেরিয়ারের সঙ্গে থেকে যাবে।” ব্র্যাভো তাঁর সকল ফ্যানকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এও বলে দিয়েছেন যে, তিনি পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবেই খেলা চালিয়ে যাবেন।”
ব্র্যাভোর সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের ঝামেলায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ক্রিকেট। বোর্ডের বিরোধীতায় সিরিজের মাঝপথেই ভারত থেকে ফিরে গিয়েছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন উইন্ডিজ দল। আর সেটাই ছিল ব্র্যাভোর শেষ ওয়ান-ডে। ব্র্যাভোর ঝুলিতে ২২০০ রান ও ৮৬টি টেস্ট উইকেট রয়েছে। ওয়ান-ডে ফর্ম্যাটে ২৯৬৮ রান ও ১১৯টি উইকেট রয়েছে। দেশের হয়ে টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে ১১৪২ রান ও ৫২টি উইকেট রয়েছে তাঁর। বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার জন্যই শেষ তিন বছর তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্রাত্য ছিলেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী টি-২০ ক্রিকেট মাতিয়েছেন। এবছর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল জয়ের স্বাদও পেয়েছেন তিনি। অ্যাথলেটিক ফিল্ডিং, কার্যকরী বোলিং আর মারকুটে ব্যাটিয়ের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।