মরশুমের মাঝপথেই ইস্টবেঙ্গলে জগা খিচুড়ি অবস্থা। টানা তিনটে ম্যাচ হেরে কোচ সরেছেন। কোচিং স্টাফে রদবদল হয়েছে। আলেয়ান্দ্রোর জায়গায় বসানো হয়েছে তাঁর প্রাক্তন ডেপুটি মারিওকে। এই খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাতেই প্রথম জানানো হয়েছে। নতুন ফুটবলারদেরও স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ক্রোমা, মনোতোষ চাকলাদারদের মতো ফুটবলারদের সই করানো হয়েছে।
তবে আলেয়ান্দ্রো যেদিন দেশে ফেরার বিমানে উঠলেন, সেদিনই নতুন করে ফের এই ফুটবলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লেগে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। ফের সেই কোয়েস বনাম ইস্টবেঙ্গল দ্বন্দ্ব চালু। এমনিতেই মে মাসের পরে ইস্টবেঙ্গল এবং কোয়েস অতীত হয়ে যাচ্ছে পরস্পরের কাছে। তবে বিদায় বেলাতেও দ্বৈরথের ট্র্যাডিশন বজায় রাখছেন কোয়েস কর্তারা।
জানা গিয়েছে, দলের বেশ কিছু ফুটবলারের উপরে বীতশ্রদ্ধ হয়েছে ক্রোমাদের সই করানো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের তরফে। এতেই অখুশি কোয়েস কর্তারা।
আলেয়ান্দ্রো যেদিন পদত্যাগ করেন, সেদিনই কোয়েসের তরফে লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সিইও সুব্রত নাগ। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে ঘটনা হল, দলের নতুন করে ফুটবলার সই করানোয় মোটেই সন্তুষ্ট নন কোয়েস কর্তারা। বেঙ্গালুরুর কোয়েসের দফতর থেকে সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে নতুন ফুটবলার নেওয়ায়। বিনিয়োগকারী সংস্থার বক্তব্য, এখন আবার নতুন করে ফুটবলার নেওয়ার অর্থ কী!
ইস্টবেঙ্গল এমনিতেই খেতাবি দৌড় থেকে অনেকটা সরে গিয়েছে। তাই ইস্টবেঙ্গলের জন্য নতুন করে আর অর্থ খরচ করতে আগ্রহী নয় বিনিয়োগকারী সংস্থা। শেষবেলাতেই তাই ফের একবার ইস্টবেঙ্গল বনাম কোয়েস দ্বন্দ্বে তোলপাড় ময়দানি ফুটবল।