ইস্টবেঙ্গল ৩ (রালতে ১৭', ৬১', জাস্টিন ৪৪')
মোহনবাগান ২ (আজহার ১৩', ডিকা ৭৫')
মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট আর প্রিয় ক্লাবের নামে শব্দব্রহ্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, ২০১৮-১৯ আই-লিগের প্ৰথম ডার্বিকে বরণ করতে প্রস্তুত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। একেবারে রবিবাসরীয় মহারণের আদর্শ মৌতাত।
দু'দলের খেলোয়াড়দের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, "মাঠের লড়াই মাঠে থাকুক, জিতুক ফুটবল।" সমর্থকদের সম্প্রীতির বার্তা দিয়েই এদিন দুরন্ত পেসে শুরু হলো খেলা। ১৭ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল ম্যাচের পারদ চড়িয়ে দিল।
ম্যাচ জেতার পর গ্যালারি। ফোটো- শশী ঘোষ।
লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে চুলোভাকে কাটিয়ে ওমরের নিখুঁত মাইনাসে গোল করে গেলেন আজহার। আর চার মিনিটের মধ্যেই পাল্টা দিল ইস্টবেঙ্গল। জবি জাস্টিনের পাস থেকে রালতের মাপা গোলে খেলায় ফিরল লাল-হলুদ। যদিও এই গোলটি 'ক্লিয়ার অফসাইড' বলেও মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা! সনি নর্ডেকে ছাড়াই ডার্বিতে নামছে মোহনবাগান
বিরতির ছ'মিনিট আগে গ্যালারিতে মশাল জ্বালিয়ে দিয়ে গেলেন জাস্টিন। এবার রালতে বাড়ালেন বল, ছোট বক্সের বাইরে থেকে অনবদ্য ব্যাক-ভলিতে গোল করলেন তিনি। বাগান গোলরক্ষক শঙ্কর রায় তখন শুধুই দর্শক। এদিন অভিষেক ম্যাচেই মন জয় করলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি জেমি স্যান্টোস কোলাডো।
বিরতির পরে জোড়া ধাক্কা খায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কিংসলে। আর এর দু'মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় ও লাল-হলুদের হয়ে তিন নম্বর গোলটা করলেন রালতে। ডিকার ফ্রি-কিক শঙ্করের হাতে লেগে রিবাউন্ড হয়ে ফিরে আসে। সেখান থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন রালতে।
জবি জাস্টিনের মাথা দিয়ে গোল। ফোটো- শশী ঘোষ।
মোহনবাগান দু'গোলে পিছিয়ে পড়েও লড়াই ছাড়ে নি। ৭৫ মিনিটে অরিজিৎ বাগুইয়ের ক্রস বোরহা গোমেজ চেষ্টা করেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেখান থেকে বল নিয়ে গোল করে বেরিয়ে যান কলকাতা লিগের নায়ক ডিপান্ডা ডিকা। কিন্তু খেলায় সমতা ফেরাতে পারেনি বাগান। উল্টে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে বাগান গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারলেন না জাস্টিন।