Advertisment

শীর্ষস্থানের সুযোগ হাতছাড়া, ভবানীপুরের সঙ্গে শোচনীয় ড্র ইস্টবেঙ্গলের

এদিন জিতলেই শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে এখনও আপাতত পিয়ারলেস। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ভবানীপুর, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
east bengal

অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা (কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি ফেসবুক)

ইস্টবেঙ্গল: ২ (পিন্টু, বোরহা)
ভবানীপুর: ২ (কামো, জগন্নাথ)

Advertisment

ক্রোমা ধ্বংস করেছিলেন কয়েকদিন আগে। সেই হারের হ্যাংওভার কাটতে না কাটতেই এবার ক্রোমার প্রাক্তন বাগান সতীর্থ কামো এবার ইস্টবেঙ্গলকে হার উপহার দিলেন। যে হারে ইস্টবেঙ্গল লিগ জয়ের দৌড়ে ফের একবার পিছিয়ে পড়ল। দু-বার এগিয়ে গিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ফুটবলাররা। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দলের কাছে ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের। শুরুতে পিন্টু এবং ৮২ মিনিটে বোরহার গোল নিস্ফলা হয়ে দাঁড়ায় কামো এবং জগন্নাথ ওঁরাওয়ের গোলে।

কোলাডো, বিদ্যাসাগর, রক্ষণে বোরহা, আপফ্রন্টে হুয়ান মেরা। ভবানীপুরের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দলই নামিয়েছিলেন কোচ আলেহান্দ্রো। তবে তার দলের ফুটবলাররা সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। অথচ ম্যাচের শুরু অন্য ইঙ্গিত দিয়েছিল। ৬ মিনিটেই বক্সের মধ্যে থেকে জোরালো শটে পিন্টু জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ভবানীপুরের। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল না হলেও বিরতির পরেই বিশ্বমানের গোলে সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কামো।

আরও পড়ুন মাদ্রিদ ফুটবলের বড় দায়িত্বে ইস্টবেঙ্গলের মারিও, সম্মান দিল ফিফাও

কোলাডোর জোড়া গোলে কালীঘাটকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল

মাঝমাঠের সামান্য ওপর থেকে দুরন্ত ভলিতে গোল করে সমতা ফেরান কামো। সমতা ফেরানোর পরে ভবানীপুর ইস্টবেঙ্গলের অর্ধে আক্রমণ বাড়ায়। ক্রমাগত চাপের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ সামলে দিলেও তা পরে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রথম গোলের ঠিক আগেই কোচ আলেহান্দ্রো হুয়ান মেরাকে তুলে মার্কোস এস্পাদাকে নামান। শেষদিকে, বিদ্যাসাগরের পরিবর্তে নামানো হয় রোনাল্ডো অলিভেইরাকে। তবে লাল-হলুদ কোচের জোড়া পরিবর্তন ম্যাচে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে কালীঘাটের বিপক্ষে নজর কেড়েছিলেন মেরা। তবে এদিন সেভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না তিনি। অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের জায়গায় খেলছিলেন কোলাডো। মণিপুরী স্ট্রাইকারকেও পরিচিত মেজাজে পাওয়া যায়নি।

৮২ মিনিটে কোলাডোর কর্ণার থেকে হেডে গোল করে ২-১ এ ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন বোরহা। তবে সেই ফলাফল ২ মিনিটের মধ্যেই ২-২। ৮৪ মিনিটে জগন্নাথের লব রালতেকে টপকে জালে জড়িয়ে যায়।

আরও পড়ুন মোহনবাগানের পরে ক্রোমার ‘শিকার’ এবার ইস্টবেঙ্গল! হেরে দুঃশ্চিন্তায় আলেয়ান্দ্রো

ইস্টবেঙ্গল কিংবদন্তির নাতি মাতাচ্ছেন এশিয়া কাপ, বিশ্বক্রিকেটে নতুন বাঙালির উত্থান

এদিন জিতলেই শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে এখনও আপাতত পিয়ারলেস। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ভবানীপুর, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। তিন দলেরই ৮ ম্যাচ খেলার পরে পয়েন্ট ১৪। তবে গোল পার্থক্যে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের থেকে এগিয়ে।

ইস্টবেঙ্গল: রালতে, অভিষেক আম্বেকর, বোরহা, কমলপ্রীত, নাওরেম, হুয়ান মেরা (মার্কোস এস্পাদা), ডিকা, পিন্টু মাহাতো, বিদ্যাসাগর (রোনাল্ডো), কোলাডো

ভবানীপুর: অভিজিৎ, ভিক্টর, কিংশুক, এমানুয়েল, মুস্তাফা, সরণ, সগায়রাজ, সুপ্রিয়, ফ্রান্সিস, কামো, ডোডোজ

East Bengal Kolkata Football
Advertisment