East Bengal FC Cleiton Silva clash with Coach: একা রামে রক্ষে নেই, তায় সুগ্রীব দোসর! একেই এবারের আইএসএল-এ হতশ্রী পারফরম্যান্স। তার উপর আবার ক্লাবের কোচ এবং ফুটবলারের মধ্যে তুমুল অশান্তি। কথা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নিয়ে। সুপার কাপের আগে লাল-হলুদ শিবিরে অশান্তির মেঘ। একদিকে যখন মোহনবাগান দ্বিমুকুট জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভাসছে, উল্টোদিকে পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে তখন তুমুল অশান্তি। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে ময়দানি ফুটবলে।
২০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে সুপার কাপের আসর। গত মরশুমে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ঝাঁপাবে তারা। কিন্তু তার আগে তাল কেটেছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিস ম্যাচ ছিল চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে। আনোয়ার আলির একমাত্র গোলে সেই ম্যাচে জেতে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচের মধ্যেই কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে ঝামেলা বাধে ক্লেইটন সিলভার। ঝামেলা এমন যে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মাঠ ছাড়েন ক্লেইটন। পরে সোজা ফিরে যান হোটেলে। ক্লাব সূত্রে খবর, যা পরিস্থিতি তাতে ক্লেইটনকে ছাড়াই হয়তো সুপার কাপে নামতে পারে ব্রুজোর ব্রিগেড।
কেন কোচের সঙ্গে ঝামেলা বাধল ক্লেইটনের?
জানা গিয়েছে, ক্লেইটনকে নাকি তাঁর পছন্দের পজিশনে খেলাননি কোচ অস্কার ব্রুজো। বরং তাঁকে অন্য জায়গায় খেলাচ্ছিলেন। যা নাপসন্দ ছিল ক্লেইটনের। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আইএসএল-এ সর্বাধিক গোল করা তারকা ফুটবলারের সেই অপমান হজম হয়নি। পাশাপাশি, বিপক্ষের বক্সে চাপ দেওয়ার জন্য বার বার নির্দেশ দিচ্ছিলেন কোচ। যা একেবারেই ভাল লাগেনি ক্লেইটনের।
আরও পড়ুন শুভাশিসের হ্যান্ডবল ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেলেন রেফারি? এবার মুখ খুললেন মেহতাব
ব্রাজিলীয় তারকা সোজাসুজি কোচের মুখের উপর বলে দেন, নিজের মতোই তিনি খেলবেন। এতে স্বভাবতই মারাত্মক চটে যান ব্রুজো। এর পর মাঠ থেকে বেরিয়ে এসে কোচের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় ক্লেইটনের। ঝামেলা করে মাঠ ছেড়ে সোজা ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি। সেখানে পোশাক পাল্টে সোজা হোটেল ফিরে যান। ক্লেইটনের এই আচরণে অনেকেই হতবাক। এবারের ISL ম্যাচগুলিতেও অনেক সময় প্রথম একাদশে ক্লেইটনকে রাখেননি ব্রুজো। পরিবর্ত হিসাবে ইনজুরি টাইমে অনেক সময় তাঁকে নামিয়েছেন। যা নিয়ে একটা চাপা ক্ষোভ ছিলই ক্লেইটনের। এদিন সেই ছাইচাপা আগুনে ঘি পড়ে।
আরও পড়ুন সুপার কাপে আদৌ খেলবে তো মহামেডান? ফুটবলারদের পর এবার আল্টিমেটাম দিল FSDL-ও
জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই ক্লেইটন ব্রুজোর পছন্দের ফুটবলার নন। পরিবর্ত হিসাবে নামিয়ে অনেক সময়ে হাবে-ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রুজো। এবার গোটা মরশুমে একটাও গোল পাননি ক্লেইটন। যা নিয়ে হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। কোচের হাতে বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই ক্লেইটনকে খেলাতেন। সুতরাং পরের মরশুমে ব্রুজো কোচ থাকলে ক্লেইটনকে দলে রাখা হবে না এবিষয়টা অনেকটাই নিশ্চিত। তার উপর রবিবারের ঝামেলার পর লাল-হলুদ শিবির থেকে ক্লেইটনের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত।
এদিকে, ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও ঠান্ডা লড়াই শুরু হতে পারে কোচের। কারণ ব্রুজোর পছন্দের লোক থাংবোই সিংটোকে ভাল ফুটবলার তোলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ক্লাবের চিফ টেকনিক্যাল অফিসারের ক্ষমতা কমেছে। গত মরশুমে এই টেকনিক্যাল অফিসারই ফুটবলার আনার দায়িত্বে ছিলেন। সুতরাং কোচের সঙ্গে ক্লাবের একটা লড়াইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।