ফুটবলার। পরবর্তীতে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। এমন নজির ময়দানে ভুরি ভুরি। বাইচুং ভুটিয়া, রহিম নবি থেকে বর্তমান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে, সকলের নামের পাশেই রয়েছে ফুটবলার কাম রাজনীতিবিদ। সেই তালিকায় জুড়ে গেল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে খেলে যাওয়া জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার জেজে লালপেখলুয়ার নাম-ও। মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জেপিএম-এর (জোরাম পিপলস মুভমেন্ট) টিকিটে নির্বাচনে লড়েছিলেন সাউথ টুইপুই কেন্দ্র থেকে।
নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা গেল মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএনএফ-এর (মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট) প্রার্থী লালথাংলিয়ানাকে ১৩৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। জেজে পেয়েছেন ৫৪৬৮ ভোট। লালথাংলিয়ানার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫৩৩৩টি।
ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল-এর প্ৰথম মরশুমেই জেজে রবি ফাউলারের কোচিংয়ে খেলেছিলেন। সাতটা ম্যাচ খেলে তাঁর নামের পাশে লাল-হলুদ জার্সিতে রয়েছে ১টি গোল। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেই শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলেছেন।
ইস্টবেঙ্গলে খেললেও কেরিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন মোহনবাগান এবং চেন্নাইয়িন এফসিতে। মোহনবাগানের হয়ে আইলিগ এবং চেন্নাইয়িনের হয়ে দু-বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারের জলজ্যান্ত সূচক। তিনটে পৃথক স্পেলে কাটিয়েছেন মোহনবাগানে। পুনে এফসি থেকে উত্থান হওয়া তারকা পৈলান এরোজ, ডেম্পো হয়ে নাম লিখিয়েছিলেন সবুজ মেরুন শিবিরে। সঞ্জয় সেনের দলে ঢুকেই জনতার নয়নের মণি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা লিগে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে আত্মপ্রকাশেই গোল করেন তিনি। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিপক্ষে।
পরের সিজনে জেজেকে লোনে সই করায় চেন্নাইয়িন। আইএসএল অভিষেক মরশুমে চেন্নাইয়িনের জার্সিতে ৪ গোলের বেশি করতে পারেননি তিনি। তবে মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে জেজে পাকাপাকিভাবে চার বছরের চুক্তিতে সই করেন চেন্নাইয়িনে। ২০১৫ সিজনে চেন্নাইয়িনকে আইএসএল জিততে সাহায্য করেন ১১ ম্যাচে ৬ গোল, ৩ এসিস্ট সমেত। লিগের উঠতি ফুটবলারের সম্মানও জিতে নেন তিনি। সেই সিজনে এটিকের বিপক্ষে গোল-ও ছিল তাঁর।
দক্ষিণী দলটির হয়ে চুক্তিবদ্ধ থাকাকালীন জেজে মাঝে মোহনবাগানে দুটো সিজন লোনেও খেলে গিয়েছেন।
সবমিলিয়ে আইএসএল, আইলিগ কাঁপানো তারকা আপাতত ময়দানি ফুটবলে অতীত। নতুনভাবে রাজনীতির ময়দানে গোল করে ফেললেন মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে।