বিভিন্ন উপায়ে শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শতবর্ষে উদ্বোধনী ঝলক আগেই দেখেছিল অগাস্টের শহর কলকাতা। পদযাত্রা হোক বা আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান, প্রাক্তন অধিনায়কদেরও অভিনব কায়দায় সম্মান জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শতবর্ষকে ব্লকবাস্টার বানিয়ে শহরে পা রেখেছিলেন স্বয়ং মজিদ বিসকর। তিনি রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন লাল-হলুদের শতবর্ষের অনন্য আবেগের। এবার আরও অনন্য কায়দায় শতবর্ষকে সমর্থকদের কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা ক্লাব কর্তাদের। শুক্রবারেই রীতিমতো সংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হল, আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বাছাই করা কিছু পুজো সংগঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
বাঙালির চিরশ্রেষ্ঠ আবেগ দুর্গাপুজো। আর রক্তে রক্তে ফুটবল। তাই ফুটবল আর দুর্গাপুজোকে মিলিয়ে দিতে ব্রতী হলেন ক্লাব কর্তারা। তা-ও আবার শতবর্ষের সময়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হল, কলকাতা, দমদম এবং বিধাননগর- এই তিন পুরসভার অন্তর্গত পুজো কমিটিগুলির মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ শারদ সম্মান পুরস্কার দেওয়া হবে। চারটে ক্যাটেগরিতে বাছাই পর্ব হবে- সেরা পুজো, সেরা মণ্ডপসজ্জা, সেরা প্রতিমা ও সেরা উৎকর্ষ।
বাছাইয়ের জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকেই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। সেই জুরি বোর্ডে কারা থাকবেন, তা অবশ্য় এখনও জানানো হয়নি। প্রতি বিভাগে বিজয়ী পুজো কমিটি পাবে একলক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার। চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন। নাম নথিভুক্ত করার পরে ৬০টি পুজো কমিটিকে বেছে নেওয়া হবে। অক্টোবরের ২ তারিখের মধ্যেই প্রতিটি ক্যাটেগরিতে সেরা দশের তালিকা জানানো হবে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত বাছাই পর্ব সম্পন্ন হবে। মহাষষ্ঠীর দিন পুরস্কার প্রাপ্ত পুজো কমিটির নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে।
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, সপ্তমীর দিন ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের পক্ষ থেকে কয়েকজন হালতুর নন্দীবাগান এলাকার একটি অনাথ আশ্রমে শিশুদের সঙ্গে কাটাবে। সেখানে অনাথ কিশোর, কিশোরীদের হাতে ক্লাবের পক্ষ থেকে গিফট তুলে দেওয়া হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, "ইস্টবেঙ্গল শুধু ফুটবল ক্লাব নয়। সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে। সেই সামাজিক দায়িত্ব থেকেই ক্লাবের শতবর্ষে শারদ শ্রেষ্ঠ সম্মানের আয়োজন করা হয়েছে।"