Advertisment

মোহনবাগানে বিধ্বস্ত ইস্টবেঙ্গল! হারের হ্যাটট্রিকে 'বিদ্রোহী' সমর্থকরা

ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিচ্ছিল সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। চাপের কাছে শুরু থেকেই নতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন লাল হলুদ ফুটবলাররা। ১৭ মিনিটেই বেইতিয়া গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
baba diwara

গোলের পরে বাবা দিওয়ারা (আইলিগ টুইটার)

মোহনবাগান-২ (বেইতিয়া, পাপা)
ইস্টবেঙ্গল-১ (মার্কোস)

Advertisment

যা ভাবা হয়েছিল, সেটাই হল। যুবভারতীতে ফেভারিট মোহনবাগান ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। লড়াই ছিল দুই স্পেনীয় কোচের। সেখানে আলেয়ান্দ্রোকে বাজিমাত করে শেষ হাসি হাসলেন কিবু ভিকুনাই। এর ফলে মোহনবাগান লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করল, তেমনই ইস্টবেঙ্গল আরও তলানিতে চলে গেল। মোহনবাগানের হয়ে এদিন গোল করে যান পাপা দিওয়ারা ও বেইতিয়া। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের একটি গোল মার্কোসের। পঞ্চম স্থানে থাকলেও এবারের মতো আইলিগ জেতার আশা যে ইস্টবেঙ্গলের শেষ, তা বলাই বাহুল্য়।

ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিচ্ছিল সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। চাপের কাছে শুরু থেকেই নতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন লাল হলুদ ফুটবলাররা। ১৭ মিনিটেই বেইতিয়া গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন।

কমলপ্রীত ডার্বির শুরুতেই ফ্লপ। তাঁকে বোকা বানিয়েই নওরেম সেন্টার করেছিলেন। সেই বল রিসিভ করেই গোলে বল ঠেলেন বেইতিয়া। কার্যত ফাঁকায় গোল করেন বেইতিয়া। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা তাঁকে মার্ক করতেই ভুলে গিয়েছিলেন। মোহনবাগান এদিন স্প্যানিশ ঘরানাতেই ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠছিল। অন্য়দিকে ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকেই ছিল নিষ্প্রভ।

দ্বিতীয়ার্ধের পাপা দিওয়ারা গোল করে ২-০ করে দেন। বেইতিয়া কর্ণার করেছিলেন। সেখান থেকে হেডে গোল করেন পাপা। এটাই মোহনবাগান জার্সিতে তাঁর প্রথম গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের গোলের কিছুক্ষণের মধ্য়েই ব্যবধান কমিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মার্কোস গোল করে স্কোর ২-১ করেন। অ্যাসিস্ট এডমুন্ডের। এরপরে ইস্টবেঙ্গলের আরও একটি জোরালো আক্রমণ বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। শট নিয়েছিলেন হুয়ান মেরা। না হলে এদিন খারাপ খেলেও ড্র রেখে মাঠ ছাড়তে পারতেন।

ডার্বির আগেই টানা দু-ম্যাচ হেরে বসেছিল ইস্টবেঙ্গল। চার্চিল ও গোকুলমের কাছে হেরে ভাগ্যের চাকা ওলটানোর জন্য ডার্বি-জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন আলেয়ান্দ্রো। তবে তাঁর ভাগ্যটাই খারাপ। এদিনের হারে ইস্টবেঙ্গলে কোন্দল যে আরও বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।

কোয়েস-ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে তলানিতে। দল গঠন নিয়ে বিভ্রান্ত কোচও। কয়েকমাস পরেই কোয়েস-ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে হয়তো বিচ্ছেদ পড়বে। কোনও একসময় ক্লাব ছাড়বেন কোচও। তবে ইস্টবেঙ্গলের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকে যাবে রেকর্ড বুকে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্লাব সমর্থকরা। ক্ষোভের আঁচে পুড়ছেন সমর্থকরা। নিশানায় কোচ থেকে কোচ, ক্লাব-কোয়েস কর্তারা। এমন ডামাডোল কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল আর ছন্দে ফিরতে পারে কিনা, এই মরশুমে সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন আজ বাঙালির বঙ্গভঙ্গ! ডার্বি কোথায়, কোন চ্যানেলে দেখবেন

আরও পড়ুন এটিকে-মোহনবাগান সংযুক্তি! ঠিক না ভুল, জানালেন মহারাজ

East Bengal Mohun Bagan
Advertisment