ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন আরোমল এমকে। প্রথমার্ধে ওটাই ছিল ছিল একমাত্র গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দুই দলই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায়। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলকে আরও এগিয়ে দেন শ্যামল বেসরা। গতবছরও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল দিয়েছিলেন শ্যামল। মঙ্গলবার, তিনি সেই ঐতিহ্য বজায় রাখেন।
এরপর দর্জি তামাং গোল দিয়ে মোহনবাগানের ব্যবধান কমান। কিন্তু, এরপর আর বাগান শিবির গোল করতে পারেনি। তবে, আরও গোলের সুযোগ মোহনবাগান পেয়েছিল। কিন্তু, তারা সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। এই ম্যাচের শুরুর দিকে মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি বাগানের খেলোয়াড়। রুখে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক গৌরব। এটা ছিল দিনের শুরু। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল ৩৩১ দিন পর মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ের সাক্ষী হয়েছে।
ছোটদের ম্যাচ হলেও, তা ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে খেলা হওয়ায়, ম্যাচ দেখতে ভালোই ভিড় হয়েছিল। দূর থেকে ট্রেনে চেপে দলের পতাকা নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন সমর্থকরা। সেই সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে ফেরার সময় ব্যারাকপুর প্ল্যাটফর্মে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন মোহনবাগান সমর্থকরা।
বহুদিন পরে ডার্বিতে জয় পেয়ে স্বভাবতই খুশি ইস্টবেঙ্গল শিবির। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ অর্চিষ্মান বিশ্বাস বলেন, 'ম্যাচটা ৫০-৫০ ছিল। মোহনবাগান এবং আমাদের, দুই দলেই বেশ ভালো মানের ফুটবলাররা ছিল। তারাই এই ম্যাচে খেলেছে। এই ছেলেদের যা প্রতিভা, তাতে বড় জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনিতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে সবাই চাপে থাকে। আমাদের ছেলেরাও ছিল। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ হলে, টেম্পারমেন্ট ধরে রাখাটাই সব। সেটা আমাদের ছেলেরা পেরেছে।'
ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো বলেন, 'রেফারিই আমাদের হারিয়ে দিলেন। আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু, রেফারি আমাদের বিরুদ্ধে খেলেছেন। আইএফএর উচিত ছিল, ভালো মানের রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া।'