Tripura's international stadium: কলকাতার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সেজে উঠছে ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২২ হাজার দর্শকাসনের এই স্টেডিয়ামের কাজ ২০১৭ সালের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। প্রকল্প নির্মাণের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ১৮৫ কোটি টাকা।
১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকেই ত্রিপুরায় ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়েছিল। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিক থেকে ত্রিপুরা রঞ্জি ট্রফিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য লোধা কমিশন জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটের প্রসারণে জোর দিয়েছিল। সেই সময়ই ত্রিপুরায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই নরসিংহগড়ে শুরু হয় এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির কাজ।
এই ব্যাপারে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (টিসিএ) সভাপতি তপন লোধ বলেন, 'ত্রিপুরায় ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়েছিল। ১৯৮০ দশকের শেষের দিক থেকেই ত্রিপুরা রঞ্জি ট্রফিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। বিভিন্ন ফরম্যাটের জাতীয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করছে।'
তপন লোধ বলেন, 'এই স্টেডিয়ামের আনুমানিক খরচ প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৮৫ কোটি টাকা। ২২ হাজার আসন আছে। ২০১৭-র প্রথম দিক থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে ঠিকাদারদের ১২৫ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও অতিরিক্ত ২০-২৫ কোটি টাকার কাজ হবে। আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। মাঠ ইতিমধ্যেই টিসিএর হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকাল টুর্নামেন্টগুলো এখানেই হচ্ছে। এখন স্টেডিয়ামের ওপরের দিকে কিছু ইস্পাতের কাজ বাকি আছে। এলইডি লাইট বসবে। পাওয়ার মেটাল লাইট বসবে। আমি টিসিএর পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তাঁর উৎসাহেই কাজটা দ্রুত শেষ হতে যাচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষ এই স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতির দিকে চেয়ে আছেন।'
আরও পড়ুন- 'দিনের পর দিন ছেলেটা ম্যাগি খেয়ে কাটিয়েছে', হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে বিস্ফোরক, মালকিন নীতা
টিসিএ সভাপতি জানান, কাজটা আরও আগেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু, কোভিডের সময় কাজ বন্ধ ছিল। সেই জন্যই দেরিটা হচ্ছে। স্টেডিয়াম পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে, বিসিসিআই ছাড়পত্র দিলেই এখানে আইপিএল-সহ অন্যান্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হবে। এর আগে শোনা গিয়েছিল যে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) তাদের দ্বিতীয় হোম গ্রাউন্ড করতে চেয়েছে এই স্টেডিয়ামকে। টিসিএ আশাবাদী, ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটা হতেও পারে।