East Bengal appeals for minority hindu protection in Bangladesh: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরেইবাংলাদেশে বর্তমানে হিংসা চলছে। আর, সেই হিংসায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন সেদেশের হিন্দুরা। যাঁরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। হিন্দুদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমা ধ্বংস করে মন্দিরগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। লোকজনকে অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে। হিন্দু নারীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই সমস্ত ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। পরিস্থিতি অন্য মাত্রা নেয় বাংলাদেশ সরকার অভূতপূর্ব মামলায় হঠাৎ করেই ইসকনের ভুতপূর্ব সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করে বসায়।
তারপরেই বাংলাদেশ নতুন করে হিংসার আমদানি হয়েছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠে গিয়েছে। পাল্টা সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও পথে নেমেছেন। দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এরকম রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গলও। সোমবার দুপুরে ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে তীব্র নিন্দা করা হয় লাল হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে।
প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়, "আপনারা সকলেই জানেন যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটি প্রতিবাদ থেকে জন্মগ্রহণ করেছিল- "Racism" শব্দটি জনপ্রিয় হওয়ার এবং ফিফা চার্টারে স্থান পাওয়ার অনেক আগেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব racism এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্লাবের প্রতিস্থাপন করেছিল। সেই থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সর্বদাই জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা থেকে শুরু করে ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ থেকে আইলা এবং অতি সম্প্রতি কোভিড ১৯ মহামারীর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো পর্যন্ত অনেক জন আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল।"
আরও পড়ুন: মাত্র ২২ বছরেই অবসর বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেটারের! কখনও খেলেননি IPL! সম্পত্তি ৭০ হাজার কোটি টাকার
"এমনকি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং তার বহু সদস্যের সক্রিয় ভূমিকা কারুর অজানা নয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা আমাদের ক্লাবের সমর্থকদের খুব গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে এবং পরবর্তী সময়ে এবং '৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং '৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা তাদের থেকে প্রচুর ফোন এবং ই মেইল পাচ্ছি, যেখানে তারা আমাদেরকে এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন I"
"এমনকি আমাদের সমর্থকরা যারা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন তারাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তারা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।"
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নাটকীয় মুহূর্তকে হাজির হয়েছিল গত ৫ আগস্ট, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ইস্তফা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানী ঢাকাতে জড় হওয়া আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনার বাসভবনে ঢুকে পড়ে। আর, সেখানে লুঠপাট চালায়।
অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশকে এভাবে অশান্ত করার মূলে আমেরিকা এবং পাকিস্তানের হাত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে পর্যন্ত এই রাজনৈতিক পালাবদলে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।