সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে বসার পরেই ভারতে প্রথমবার দিন-রাতের টেস্টের সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোলাপি বলে দিন-রাতের প্রথম টেস্ট আয়োজন করার বিষয়ে ফেভারিট ইডেন গার্ডেন্স। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজেই দেখা যেতে পারে গোলাপি বলে দিন রাতের টেস্ট। এমনটাই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এক সূত্রকে টেলিগ্রাফ-কে জানিয়েছে, "বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ইডেন গার্ডেন্সে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনের সম্ভবনা শতকরা ৮০-২০। কোনও কিছুই এখন সরকারিভাবে চূড়ান্ত নয়। তবে সেই সম্ভবনা এখনও উড়িয়ে নেওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন বাংলাদেশ সিরিজেই হয়তো গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট
সৌরভ আগেই জানিয়েছিলেন, "দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন করার পক্ষপাতী আমি। কোহলিও সম্মতি জানিয়েছে। খেলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এভাবেই সেটা সম্ভব।" পাশাপাশি সৌরভ আরও জানিয়েছেন, "দর্শকরা নিজেদের কাজ ফিনিশ করে চ্যাম্পিয়ন্সদের খেলা দেখতে আসতে পারবেন। জানি না কবে এটা সম্ভব হবে। তবে আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবনাচিন্তা করছি। যতদিন দায়িত্বে রয়েছি, ততদিন আমি এই বিষয়ে উদ্যোগী হব।"
আরও পড়ুন ভারতে ডে-নাইট টেস্টের ব্য়াপারে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করবে বিসিবি
জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ও কোচ অনিল কুম্বলেও দিন-রাতের টেস্ট খেলার বিষয়ে পক্ষপাতী। তিনি ক্রিকেটনেক্সট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, "আমার মনে হয় দিন-রাতের টেস্ট দর্শকদের খেলার পরবর্তী পর্যায়ে মাঠে নিয়ে আসবে।" তবে তিনি জানিয়েছিলেন, "বছরের ঠিক সময়ে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। কারণ অনেক সময় সন্ধের সময় শিশির পড়ে বল ভিজে যায়। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।"
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ভারত সফরে এসেছিল, তখন বিসিসিআইয়ের কার্যকরী সচিব অমিতাভ চৌধুরী রাজকোট টেস্ট দিন-রাতের ফর্ম্যাটে খেলতে আগ্রহী ছিলেন। তবে সিওএ সদস্যরা ভেটো প্রয়োগ করে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ক্রিকেটের সংস্কার সাধনে অনেকটাই উদারপন্থী। সিএবি সভাপতি হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে ম্যাচ চালু করেছেন।
দলীপ ট্রফিতে গোলাপি বলে খেলা হওয়ার পরে অবশ্য অনেকেই এই বলে ক্রিকেট সফল হওয়ার বিষয়ে সন্দিহান। বলের গঠনগত কারণেই নাকি সমস্য়া। যদিও বোর্ডের পদস্থ কর্তা সাবা করিম জানিয়েছিলেন, বল প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে বোর্ডের নিবিঢ় যোগাযোগ রয়েছে। তাই বল অনেকটাই উন্নত হয়েছে আগের তুলনায়।