চার বছর ধরে আইএসএল খেলছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। কিন্তু জন আব্রাহামের এই দল এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। পূর্ব ভারতের মানুষের সমর্থনকে পাথেয় করেও আইএসএল-এ নিজেদের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
রিকি হার্বাট, সিজার ফারিয়া, নেলো ভিনগাদা, জোয়ও ডে ডিউস ও আভরাম গ্রান্টের পর এবার নর্থইস্টের কোচের হটসিটে বসেছেন এলকো শাত্তোরি। নেদারল্যান্ডসের সোয়ালমেনের বাসিন্দার সিভি-তে ভারতীয় ফুটবলের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আজ থেকে ছ’বছর আগে প্রয়াগ ইউনাইটেডের তাঁকে আই-লিগের কোচ করে এনেছিল। ২০১৪-তে ডাচম্যান প্রয়াগ ছেড়ে চলে যান। ২০১৫-তে তিনি ফের কলকাতায় এসেছিলেন। এবারও আই-লিগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লাল-হলুদ ক্লাবের সঙ্গে তাঁর মধুচন্দ্রিমা এক মরসুমের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। শাত্তোরিকে ছাঁটাই করে বাংলার ছেলে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে কোচ নিযুক্ত করেছিল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন: জিতলে চাকরি থাকবে, হারলে ছাঁটাই করে দেবে: স্টিভ কোপেল
শাত্তোরি এরপর পাড়ি জমান সৌদি আরবে। আল ইত্তিফাক এফসি-র কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ফের ভারতে ডাচ বাসিন্দা। নর্থইস্টের দায়িত্বে তিনি। মিশন আই-লিগ। নর্থইস্টের অতীতের ট্র্যাকরেকর্ড জানেন শাত্তোরির। কোনও ক্লাবের সাফল্য একদিনে আসে না বলেই মত তাঁর। বললেন, “তাজমহলও একদিনে হয়নি। আর মিনি কুপার গাড়ির থেকে ফেরারির গতিও আশা করা যায় না।”
শাত্তোরি আই-লিগে কোচিং করিয়েছেন আর আইএসএল-এ কোচিং করাবেন। গত মরসুমে শেষ কয়েকটা ম্যাচেও নর্থইস্টের সঙ্গে ছিলেন তিনি। শাত্তোরি কিন্তু আই-লিগ আর আইএসএল-এর মধ্য়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক দিক দেখছেন না। এই দুই টুর্নামেন্টের ফারাকের প্রশ্নে তাঁর উত্তর, “হোটেল থেকে শুরু করে পরিকাঠামো। অবশ্যই পেশাদারিত্ব। এসবেতেই আইএসএল অনেকটা এগিয়ে। আমি আইএসএল আর আই-লিগের মধ্যে কোনও নেগেটিভ পা পজিটিভ দেখি না।” শাত্তোরি জানেন যে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের জন সমর্থনের কথা। পরিচিত কলকাতার দুই প্রধানকে ঘিরে মানুষের উন্মাদনার সঙ্গে। তিনিও চাইছেন আগামী মরসুমে ইস্ট-মোহন আইএসএল খেলুক। দু’দিন আগে আইএসএল-এর মিডিয়া ডে উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন শাত্তোরি।