Joe Root equals Sachin Tendulkar's Test run tally: বিরাট কোহলি এবং জো রুটের টেস্ট ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানগত তুলনা করে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের খোঁচা দিলেন মাইকেল ভন। এমনিতে ক্রিকেট দুনিয়ায় রুট ক্রমশই বড় থেকে আরও বড় তারকা হওয়ার পথে হাঁটছেন। ইংল্যান্ডের সমর্থক এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়রা রুটকে নিয়ে রীতিমতো গর্বিত। বৃহস্পতিবার, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২য় টেস্টের উদ্বোধনী দিনে, রুটের সৌজন্যে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে ১৩০ থেকে ৭ উইকেটে ৩৫৮ রানে পৌঁছে যায়। ম্যাচে রুট তাঁর ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। অ্যালিস্টার কুকেরও সমান সংখ্যক টেস্ট সেঞ্চুরি আছে। রুটের পরেই টেস্ট সেঞ্চুরির তালিকায় আছেন- কেন উইলিয়ামসন (৩২) এবং স্টিভ স্মিথ (৩২) আর বিরাট কোহলি (২৯)।
এতে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল, ভারতের কোহলি টেস্ট সেঞ্চুরির নিরিখে পিছিয়ে পড়েছেন। তিনি ওয়ানডেতে শীর্ষস্থানীয় সেঞ্চুরির মালিক হতে পারেন। কিন্তু, টেস্টে কোহলি পিছিয়ে আছেন। চার প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়কের মধ্যে কোহলিই সবচেয়ে পিছিয়ে। টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারেও কোহলি রুটের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। রুট ১৪৪টি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। কোহলি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। স্টিভ স্মিথ অধিনায়কত্ব করেছেন ১০৯টি টেস্ট ম্যাচে। আর, কেন উইলিয়ামসন অধিনায়কত্ব করেছেন ১০০ টেস্ট ম্যাচে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন 'শুভ সকাল' বার্তায় ভারতীয় ভক্তদের কার্যত খোঁচা দিয়ে, কোহলি এবং রুটের কিছু তুলনামূলক পরিসংখ্যান উল্লেখ করেছেন। বিশ্ব ক্রিকেটে বিরাট কোহলির বিরাট ফ্যানবেস। এই কারণেই তাঁকে উত্যক্ত করার রাস্তা বেছে নিয়েছেন ভন। তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, কোহলির একবছরেরও বেশি পরে অভিষেক হওয়া রুট কীভাবে ভারতীয় ক্রিকেটারকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
তবে ভনের তথ্য সত্যি হলেও কোহলির চেয়ে রুট আরও ৩১টি টেস্ট বেশি খেলেছেন। কোহলির চেয়ে ৭২টি বেশি ইনিংসে ব্যাট করেছেন। তবে, রান, স্ট্রাইক-রেট বা গড়- টেস্ট ক্রিকেটের সব ক্ষেত্রেই কোহলিকে টপকে গিয়েছেন রুট। তাঁর রানের পরিমাণ ১২১৩১। যা টেস্ট ম্যাচে কোহলির রান ৮,৮৪৮ থেকে ৩,২৯০ রান বেশি। পাশাপাশি, কোহলির রানের গড় ৪৯.১৫। সেখানে রুটের রানের গড় ৫০.৩৩।রুটের স্ট্রাইক-রেটও কোহলির চেয়ে ভালো। কোহলির স্ট্রাইক রেট ৫৫.৫৬। সেখানে রুটের স্ট্রাইক রেট ৫৬.৭০। ব্যবধান খুব বেশি না হলেও তা রুটেরই পক্ষে। কোহলির অর্ধশতকের সংখ্যা ৩০টি। রুটের অর্ধশতকের সংখ্যা সেখানে ৬৪। ভারতীয় ব্যাটারের তুলনায় তাঁর ছক্কার সংখ্যাও বেশি- ৪৪।
আরও পড়ুন- আমার লেভেলে আসতে বহু দেরি গিলের! কোহলির গলায় 'নকল' বিস্ফোরণ, আসল কাহিনী প্রকাশ্যে
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ১৬ মাসের খারাপ পারফরম্যান্স কোহলির স্কোরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে কোহলি টেস্ট সেঞ্চুরি পাননি। আর, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে তিনি ফর্ম হারান। যার ফলে, প্রথমবারের মত তাঁর রানের গড় ৫০-এর নীচে চলে যায়।