New Update
ICC World Cup 2019, England Vs Australia highlights: লর্ডসে লণ্ডভণ্ড ইংল্যান্ড
ICC World Cup 2019, England Vs Australia 2019 Live Score: শেষমেশ জয়ের ধারেকাছেও এলো না ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ ২০১৯-এর সেমি-ফাইনালে উঠল অস্ট্রেলিয়া।
Advertisment
বেহরেনডর্ফের পাঁচ উইকেট, স্টার্কের চার। দুই বাঁহাতি পেসারের সংগ্রহে ন'টি ইংলিশ উইকেট, মাত্র ৮৭ রানের বিনিময়ে। মোট ৬৪ রানে জিতল অস্ট্রেলিয়া, ৪৪.৪ ওভারে ২২১ অল আউট ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ছাড়া লড়াইয়ের চিহ্নমাত্র দেখা গেল না ব্রিটিশ শিবিরে। প্রত্যাশিতভাবেই প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, সৌজন্যে তাঁর অনবদ্য সেঞ্চুরি।
আর একটা উইকেট ফেলতে পারলেই সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিজে মার্ক উড এবং আদিল রশিদ। ওকস এবং জফরা আর্চারের উইকেট তুলে নিয়ে পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরলেন বেহরেনডর্ফ। আর পাঁচ ওভার বাকি, যদিও আরও ৩০ বল যে টিকবেই ইংল্যান্ড, এমন কথা বলা যাচ্ছে না। স্কোর ২২১-৯, বড়সড় জয়ের মুখে অস্ট্রেলিয়া।
মঈন আলির কাছ থেকে হয়তো কিছু প্রত্যাশা ছিল, যদিও এই টুর্নামেন্টে বলার মতন কিছুই করেন নি তিনি। ব্যক্তিগত ছয় রানের মাথায় তাঁকে কট বিহাইন্ড করিয়ে ফেরত পাঠালেন বেহরেনডর্ফ। আর ১০ ওভার বাকি, হাতে তিন উইকেট, প্রয়োজন ৯৫ রান। নির্মম, কঠিন অঙ্ক।
খুব বিশেষ কিছু না করলে আউট করা যেত না স্টোকসকে, সেই বিশেষ কিছুই করে দেখালেন মিচেল স্টার্ক। অফ স্টাম্পে নিখুঁত ইয়র্কার, এতটাই নিখুঁত যে ধোঁকা খেলেন সেট ব্যাটসম্যানও। নিজের ওপর রাগে পা দিয়ে ব্যাট সরিয়ে দিলেন তিনি, কিন্তু তাঁর লড়াই আজকের মতো শেষ, খুব সম্ভব ইংল্যান্ডেরও। ৩৮ ওভার শেষ, স্কোর ১৮৩-৬
যেমন ভাবা গিয়েছিল, ব্যক্তিগত পঞ্চাশের পর হাত খুললেন স্টোকস। রক্ষনাত্মক হওয়ার অবশ্য আর কোনও মানেও হয় না। আক্রমণের জন্য স্টোকস বেছে নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অপেক্ষাকৃত দুর্বল বোলিং। পরপর দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ ওভারের শেষে দলের স্কোর নিয়ে গেলেন ১৪১-৫ এ। এখনও ১৯ ওভারে প্রয়োজন ১৪৫ রান
আজকে ইংল্যান্ডের জেতার কিছুমাত্র সম্ভাবনা থাকলে তা টিকে ছিল জস বাটলার-বেন স্টোকস জুটির ওপর। কিন্তু মার্কাস স্টোইনিসের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে অবিশ্বাস্য ছুটন্ত ক্যাচ নিলেন উসমান খোয়াজা! স্তভিত মাঠ, স্তম্ভিত বাটলার নিজেও। ২৭ বলে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে ফিরে যাচ্ছেন বটে, কিন্তু এই ক্যাচ সহজে ভুলবেন না তিনিও। ২৮ ওভারের শেষে স্কোর ১২৫-৫
ইনিংসের মাঝপথে ইংল্যান্ডের স্কোর ১০৯-৪, বহুদূরের পথ বাকি। জিততে গেলে ২৫ ওভারে চাই ১৭৬, যা হাতে ছয় উইকেট নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। ক্রিজে রয়েছেন স্টোকস-বাটলার, যাঁরা মোটামুটি ইংল্যান্ডের আশা ভরসা। এইমাত্র ৭৬ বলে ৫০ রান করলেন বাটলার, আশা করা যায় এবার একটু সাহস করে হাত খুলবেন তিনি। ২৬ ওভার শেষ, ২৮৬ তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের স্কোর ১১৭-৪
কুড়ি ওভারের শেষেও ১০০ হলো না ইংল্যান্ডের। ভাঙার পর এখন গড়ার খেলা, কিন্তু হাতে সময় বেশি নেই। ৩০ ওভারে দরকার ১৯৫ রান, হাতে ছয় উইকেট। খুব অঘটন না ঘটলে - যেমন ধরুন ঘটেছিল শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ডের খেলায় - ম্যাচ জেতার ৯০ শতাংশ চান্স অস্ট্রেলিয়ার। এবং তার মানে বিশ্বকাপের মাঝখানেই বিশ্বের এক নম্বর একদিনের আন্তর্জাতিক টিমের মুকুট খোয়াবে ইংল্যান্ড।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচের রাশ কিছুটা হলেও ধরছেন জনি বেয়ারস্টো, ডিপ মিড উইকেটে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক ক্যাচ দিয়ে ২৭ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। যেখানে একটু ধরে খেললেই ম্যাচ জেতা আদৌ অসম্ভব ছিল না, সেখানে অর্ধেক রাস্তা না জেতেই চার উইকেট খুইয়ে বসে আছে ইংল্যান্ড। স্কোর ৫৪-৪, ইংল্যান্ডের সামনের পথ এখন বড় বড় পাথরে পূর্ণ।
১০ ওভার শেষ, এখনও চল্লিশ ছুঁল না ইংল্যান্ডের স্কোর। কেউ কি ভেবেছিলেন, বিশ্বের এক নম্বর ওয়ান-ডে টিমের শুরুটা ঠিক এতটা শোচনীয় হবে? ও আরেকটা কথাও মনে রাখবেন, আজ হারলে আর এক নম্বর থাকছে না ইংল্যান্ড।
বিরতির পর নিজেদের সিটে ফিরে আসারও সময় পান নি অনেকেই। যথাক্রমে ০, ৮ এবং ৪ রান করে আউট ভিন্স, রুট, মরগ্যান। যার ফলে সাত ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩০-৩। লড়তে হলে খুব বড় ভরসা বর্তমানে ক্রিজে থাকা বেয়ারস্টো এবং স্টোকস। দুই উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, একটি গেছে জেসন বেহরেনডর্ফের ঝুলিতে। এর চেয়ে ভালো চিত্রনাট্য লিখতে পারত কি অস্ট্রেলিয়া? বোধহয় না।
অস্ট্রেলিয়াকে ২৮৫ রানে বেঁধে রাখল ইংল্যান্ড। শেষ দিকে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারের ব্যাট হাতে মরিয়া ৩৮ না থাকলে এই রানেও পৌঁছোয় না অস্ট্রেলিয়া। বেন স্টোকসের শেষ ওভারে ক্যারে ১১ রান সংগ্রহ করলেন। ইংল্যান্ডকে জিততে ওভার পিছু সাড়ে পাঁচেরও বেশি লক্ষ্য নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে হবে।
অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ে আয়ারাম-গয়ারাম পর্ব চলছে। ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হচ্ছে। এবারে যেমন আউট প্যাট কামিন্স। ৪ বলে ১ রান করে ওকসের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে আউট তিনি। ৪৭.১ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২৫৯। হাতে মাত্র ৩ উইকেট।
দলের শেষ ভরসা ছিলেন। ওভার কমে আসছিল। রানের গতি বাড়াতেই হত। এমন অবস্থায় ওকসের বলে লং অনে আর্চারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় স্মিথের। আউট হয়ে হতাশায় ব্যাট ঝাকাতে দেখা যায় তাঁকে। ৪৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ২৫৩। তিনশো স্কোরবোর্ডে তুলতে পারবে ইংরেজরা, সেটাই দেখার।
মাঝে পরপর উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় স্কোরের স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে অজিদের টানছেন দলনেতা স্মিথ ও ক্যারে। স্মিথ ৩১ বলে ৩৮ রানে ব্যাটিং করছেন। অন্যদিকে, ক্যারে রয়েছেন ৮ রানে। ৪৫ ওভারে অজিরা ২৪৮। ৫ উইকেটের বিনিময়ে। শেষ ৫ ওভারে ক্যাপ্টেন স্মিথ কতটা টানতে পারেন, সেটাই দেখার।
এভাবেও রান আউট হয়! স্মিথ-স্টোয়িনিসের মধ্য়ে হাস্যকর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট স্টোয়িনিস। স্মিথ মিড উইকেটে বল প্লেস করে একরান নিয়েছিলেন। তবে স্টোয়িনিস একরান পূর্ণ করে নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে ছুটে আসেন। রশিদ নন বোলিং এন্ড থেকে বাটলারের কাছে বল পাঠিয়ে দিলে আউট স্টোয়িনিস। ক্রিজে এলেন অ্যালেক্স ক্যারে। ৪২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান।
পুরোপুরি খাপ খুলতে পারলেন না! তার আগেই ম্যাক্সওয়েলকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন মার্ক উড। ৮ বলে ১২ রান করে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ম্যাড ম্যাক্স। তবে অতিরিক্ত বাউন্স বুঝতে পারেননি। থার্ডম্যান দিয়ে বল প্লেস করতে গিয়ে উইকেটকিপার বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন তিনি। ক্রিজে এলেন মার্কাস স্টোয়িনিস। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে অস্ট্রেলিয়া। ৩৯ ওভার শেষে অজিরা ৪ উইকেটে ২১৩।
৩৭ ওভারে দ্বিশতরান তুলে ফেলল স্কোরবোর্ডে। ক্রিজে স্টিভ স্মিথ (১৩ বলে ১৮) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪ বলে ১)। শেষ ১৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে কত রান যোগ করতে পারে, সেটাই আপাতত দেখার।
শতরান করার পরের বলেই আউট ফিঞ্চ। জোফ্রা আর্চারের বল ওভার বাউন্ডারি হাকাতে গিয়ে ধরা পড়লেন ওকসের হাতে। ক্রিজে এলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
অপ্রতিরোধ্য ফর্মে ব্যাটিং করে চলেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শতরান করে গেলেন ফিঞ্চ। একাই টানছেন অজিদের। ১১৫ বলে শতরান পূর্ণ করলেন তিনি। নিজের দুর্ধর্ষ ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও জোড়া ওভার বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তিনি। সঙ্গী স্টিভ স্মিথ কিছুক্ষণ আগেই ক্রিজে এসেছেন। ৭ বলে ৪ রানে ব্যাট করছেন তিনি।
বেন স্টোকস ফিরিয়ে দিলেন খোয়াজাকে। ২৯ বলে ২৩ রান করে আউট তারকা ক্রিকেটার। সরাসরি বোল্ড করে দিলেন বেন স্টোকস। ফিঞ্চ অন্যপ্রান্তে একশো-র দোড়গোড়ায়। ৯২ রানে ব্যাটিং করছেন। ক্রিজে এলেন স্টিভ স্মিথ।
ওয়ার্নার আউট হয়ে ফিরে গিয়েছেন। তবে উসমান খোয়াজার (২৪ বলে ১৯) সঙ্গে ফের একবার পার্টনারশিপ গড়ে এগোচ্ছেন ফিঞ্চ (৯৫ বলে ৮৫)। ৩০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৬২। ১ উইকেটের বিনিময়ে। পার্টনারশিপ ভাঙতে না পারলে ইংরেজদের কপালে নির্ঘাত দুঃখ রয়েছে।
ওপেনিং পার্টনারশিপে ১২৩ রান করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সময়েই ইংল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন স্পিনার মঈন আলি। ফেরালেন ওয়ার্নারকে। ৬১ বলে ৫৩ রান করে আউট অজি ওপেনার। নিজের ইনিংসে হাফডজন বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তারকা।
ওয়ার্নার-ফিঞ্চরা ক্রিচজে জাঁকিয়ে বসেছেন। কোনওভাবেই ইংল্যান্ডের বোলাররা বিব্রত করতে পারছেন না দুই অজি ওপেনারকে। দুইজনের অর্ধশতরান করে দলকে বিশাল রানের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ২০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ১১২। বিনা উইকেটে। ওয়ার্নার ৫৫ রানে এবং ফিঞ্চ ৫২ রানে ব্যাটিং করছেন।
ফিফটি পেরোলো অস্ট্রেলিয়া। সাড়ে চারের-ও কম গড়ে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করতে ১১.৫ ওভার লাগিয়ে দিলেন। তবে ইংল্যান্ডের বোলাররা ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন। ক্রিস ওকস ও জোফ্রা আর্চার উইকেট তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পরে নিয়ে আসা হল মার্ক উডকে। ১২ ওভার শেষে অজিরা বিনা উইকেটে ৫০। ফিঞ্চ ২৫ রানে এবং ডেভিড ওয়ার্নার ২২ রানে ব্যাটিং করছেন।
লর্ডসে শুরুটা ঢিমেতালে করছে অস্ট্রেলিয়া। ৬ ওভার শেষে অজিদের স্কোর মাত্র ২৬ রান। দুই ওপেনার ফিঞ্চ () ওয়ার্নার () যথেষ্ট সতর্কভাবে শুরু করেছেন। ক্রিস ওকস ও জোফ্রা আর্চার টাইট লাইন লেংথে বোলিং করছেন।
অস্ট্রেলিয়া দলে দুটো পরিবর্তন নাথান কুইল্টার নাইল ও অ্যাডাম জাম্পার বদলে প্রথম একাদশে জেসন বেহরেনডর্ফ ও নাথান লিঁয়ন। ইংল্য়ান্ডের একাদশ অপরিবর্তিত।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের। লর্ডসে প্রথমে ব্যাটিং করবে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করার পথই বেছে নিল ইংল্যান্ড।