বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যমন্ডিত ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওভাল। পোশাকি নাম কিয়া ওভাল। ইংল্যান্ড সফররত টেস্ট খেলিয়ে দলগুলিকে একবার হলেও নামতে হয় এই মাঠে। লন্ডনের এই স্টেডিয়ামের নামই এবার বদলে গেল বাঙালি ক্রিকেট প্রশিক্ষক শহিদুল আলম রতনের নামে। সম্মান জানানোর জন্য। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল কিয়া ওভাল কর্তৃপক্ষ? নিজেদের ওয়েবসাইটে ওভালের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা অতিমারীর সময়ে যেভাবে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন রতন, তাকে কুর্নিশ করতেই ২৪ ঘন্টার জন্য প্রতীকী নাম বদলের সিদ্ধান্ত।
ইংল্যান্ডে অতিমারীর সময়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও শিশুদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। আশির দশকে বাংলাদেশের ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। উইকেটকিপার হিসাবে কেরিয়ার গড়েছিলেন। যদিও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি পেশাদারি দুনিয়ায়। তারপরেই ক্রীড়া প্রশিক্ষক হয়ে যান তিনি।
আরো পড়ুন: গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানালেন নারিন, প্রকাশ্যে আনলেন গর্ভবতী স্ত্রীকেও
বর্তমানে শিশুদের ক্রিকেট সংস্থা ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট-এর প্রধান কার্যনির্বাহী তিনি। সেই সংস্থার প্রধান লক্ষ্যই হল ক্রিকেটের মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদের জীবনে উন্নতি আনা।
করোনা পর্বে বাচ্চাদের সক্রিয় রাখতে ডিজিটাল এক্টিভিটি জোন তৈরি করেছিল ক্যাপিটাল কিডস। সেই সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দেওয়ার কাজ যেমন অনলাইন সেশন, শিক্ষা, জ্ঞানবর্ধক প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছে এই সংস্থা। আর পুরোটাই দেখভাল করেছেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
তারপরেই লকডাউনের সময় ক্রীড়াক্ষেত্রে যাঁরা অবদান রেখেছেন সেই ক্রীড়াকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মান জানাতে বেনজির উদ্যোগ নেয় পৌঁনে দুশো বছরের স্টেডিয়াম কেনিংটন ওভাল। এই এই উদ্যোগে সামিল হয় ন্যাশনাল লটারি ফান্ডিংয়ের মত সংস্থাও।
বিরল এই সম্মানের অংশীদার হয়ে রতন বলেছেন, "এত বড় সম্মান পাওয়াটা সত্যিই অসাধারণ। ওভালের মতো ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম আমার নামে নামকরণ করা অনেক বড় সম্মান। এতে সমাজসেবামূলক কাজ যাঁরা করেন তাঁরা আরো উৎসাহী হবেন। সমাজকর্মীরা মানুষকে সাহায্য করার মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে চায়। আমি সারে ক্রিকেটকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন