মাঠে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আর কোনোদিন কি খেলতে পারবেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন? দুঃসংবাদ শুনিয়ে রাখলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় শর্মা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই ইপিএলে খেলতেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। তিনি অবশ্য সাফ জানালেন শনিবার কোপেনহেগেনের রাতের পর সম্ভবত আর খেলবেন না এরিকসন।
২৯ বছরের তারকা ড্যানিশ মিডফিল্ডার ইউরোয় ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিলেন দেশের জার্সি চাপিয়ে। তবে বিরতির ঠিক আগেই হৃদরোগের শিকার হয়ে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন ইন্টার মিলানের এই তারকা। সঙ্গেসঙ্গে তাঁকে মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তিনি স্থিতিশীল এবং চৈতন্য ফিরেছে, এমন বিষয়ে নিশ্চিত হতেই দু-ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে খেলা চালু করা হয়।
আরো পড়ুন: ডগলাস না থাকলে বাঁচতাম না! এরিকসেনকে দেখে পুরোনো ক্ষত ফের দগদগে মৃত্যুঞ্জয়ী দেবজিতের
লন্ডনের সেন্ট জর্জেস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সঞ্জয় শর্মাকে চিকিৎসক হিসাবে এরিকসেন পেয়েছিলেন টটেনহ্যামে খেলার সময়। তিনি বলে দিচ্ছেন, ফুটবল সংস্থা এবং ক্লাবের চিকিৎসকরা এরিকসেনের মাঠে ফেরার বিষয়ে কড়া হতে পারেন।
ডক্টর শর্মা ব্রিটেনের এক প্রচারমাধ্যমে বলেছেন, "বড়সড় একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা ওঁর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল, ওঁর কী হয়েছে? এবং কেন ঘটল? ২০১৯ পর্যন্ত ওঁর সমস্ত কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফলই মিলেছিল। তাহলে এই হৃদরোগের ব্যাখ্যা কী?"
ইংল্যান্ডের ফুটবলের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্যানেলের চেয়ারম্যান সঞ্জয় শর্মা। তিনিই জানিয়ে দিয়েছেন, "ওঁর হয়ত এমন কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল, যা আগে বোঝা যায়নি। এছাড়াও হঠাৎ শারীরবৃত্তীয় তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়েও এমনটা ঘটতে পারে।"
সেই সঙ্গে তাঁর আরো সংযোজন, "ওঁর জ্ঞান ফিরেছে। এখন স্থিতিশীল- এমন ঘটনা সকলকে স্বস্তি দিচ্ছে। তবে ও আবার ফুটবল খেলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমার। সত্যি কথা বলতে ও শনিবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য মারা গিয়েছিল। আর কি কোনো চিকিৎসক ওঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারবেন? ভাল খবর হল, ও বেঁচে গিয়েছে। খারাপ খবর, ওর কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল। তাই ও আর কোনো পেশাদারি ম্যাচ খেলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আমার। ইংল্যান্ডে তো ও খেলতেই পারবে না। কারণ আমরা এই বিষয়ে খুব কড়া।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন