Advertisment

বেলজিয়ামকে হারিয়ে শেষ চারে ইতালি! দুরন্ত আজ্জুরিদের সামনে উড়ে গেল একনম্বররা

Belgium vs Italy: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম এবং ইতালি। হ্যাজার্ড এবং ডি ব্রুইন চোটের কারণে অনিশ্চিত ছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ইতালি: ২ (বারেল্লা, ইনসাইন)
বেলজিয়াম: ১ (লুকাকু)

Advertisment

স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইতালি। রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে বেলজিয়ামকে ২-১'এ হারিয়ে দিল আজ্জুরিরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই তিনটে গোল হয়। ইতালির হয়ে নিকোলাস বারেল্লা এবং ইনসাইন গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। বিরতির ঠিক আগে বেলজিয়ামের হয়ে ব্যবধান কমান রোমেল লুকাকু।

৩১ মিনিটেই বারেল্লা দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই ইনসাইন দুরন্ত বাঁকানো শটে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। বিরতির আগে সংযোজিত সময়ে বেলজিয়াম লুকাকুর মাধ্যমে একটি গোল শোধ করে।

আরো পড়ুন: একটাও গোল না করে সেমিফাইনালে স্পেন! সুইস প্রাচীরে ধাক্কা খেয়েও জয়

Advertisment

মঙ্গলবার ইতালি মুখোমুখি হবে স্পেনের। যারা গতকাল টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডের বাধা টপকাল। নিয়মিত এবং অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। তবে শেষ হাসি হাসে স্পেনই।

বেলজিয়াম-ইতালি ম্যাচে দু দলই গোল করার পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছিল। তবে তুল্যমূল্য লড়াইয়ে রবার্তো মানচিনির দল টানা ১৩ নম্বর জয় ছিনিয়ে নেয়। সবমিলিয়ে ৩২ ম্যাচ অপরাজিত আজ্জুরিরা।

দারুণভাবে শুরু করেছিল ইতালি। ১৩ মিনিটেই লিওনার্দো বোনুচ্চি ফ্রি কিক থেকে গোল করে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। তবে ভার প্রযুক্তিতে খতিয়ে দেখে অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেই গোল। আগের ম্যাচে চোট পাওয়ার পরে ইতালি ম্যাচে নাম নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল কেভিন ডি ব্রুইনের। তবে এদিন তাঁকে রেখেই দল সাজান কোচ মার্টিনেজ। এডিন ডে ব্রুইনের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন ইতালি গোলরক্ষক ডোনারুমা। তাঁর আগে লুকাকুর একটি গোলের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন তিনি।

বিরতির আগে ইতালি এগিয়ে যায় নিকোলাস বারেল্লার দুরন্ত ফিনিশিংয়ে। দু-জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণভাবে জালে বল জড়ান তিনি। বিরতির আগেই ইতালিকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ইনসাইনে। তাঁর বাঁকানো শট জালে জড়িয়ে যায়। এই নিয়ে চলতি ইউরোয় ১১ গোল হয়ে গেল আজ্জুরিদের। এর আগে কোনো ইউরোর সংস্করণে এত গোল করেনি ইতালি। তবে এই লিড কমে যায় বিরতির আগে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি গোলে। বক্সের মধ্যে লুকাকুকে ফাউল করেন জিওভান্নি ডি লোরেঞ্জ। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি লুকাকু।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাকুর একটি শট দুর্ধর্ষ ক্লিয়ারেন্স করে দেন লিওনার্দো স্পিনাজ্জলা। পরে পেশি ছিড়ে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ইতালিয়ান ডিফেন্সকে বেশ সমস্যায় ফেলছিলেন ডোকু। উইং থেকে উঠে এসে তিনি একবার প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। তবে বারের মাত্র কয়েক ইঞ্চি ওর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Football Euro Cup euro belgium Italy
Advertisment