পর্তুগাল: ২ (ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো-২) ফ্রান্স: ২ (করিম বেনজেমা-২)
Advertisment
দেশের জার্সিতে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মারণ গ্রুপের মরণ বাঁচন ম্যাচে একাই জোড়া গোল করলেন সিআরসেভেন। পর্তুগাল ইউরোর ব্লকবাস্টার ম্যাচে ২-২ ড্র করল ফ্রান্সের সঙ্গে। পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করার পরে রোনাল্ডোর আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১০৯-এ। এতদিন সবথেকে বেশি গোল করার নজির ছিল ইরানের আলি দায়ির (১০৯)। ফ্রান্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করে আলি দায়িকে ছুঁয়ে ফেললেন রোনাল্ডো।
বুধবার রাতে ড্র করার সঙ্গেই গ্রুপ অফ ডেথ থেকে তৃতীয় স্থান অর্জন করে শেষ ষোলোয় ওঠা নিশ্চিত করল পর্তুগাল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে জার্মানি ২-২ ড্র করার পরে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে পরের রাউন্ডে গেল। গ্রুপে প্রথম ফ্রান্স।
ইউরোয় সবমিলিয়ে রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৪-এ। ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করলেন করিম বেনজেমা। ইউরোয় ২০০৮ এবং ২০১২-য় গোল করতে পারেননি। এদিনই ইউরোয় গোলের খাতা খুললেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা স্ট্রাইকার।
🇵🇹 Cristiano Ronaldo = Portugal legend 💪
🔝 1st Portuguese player to score in all 3 group games at a EURO 🔥 48 goals in his last 45 international matches 😮 7 goals in Portugal’s last 4 EURO group matches#EURO2020pic.twitter.com/0eaj5OWi2S
৩১ মিনিটে প্রথম গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। কিলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করায় ফ্রান্স প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায়। সেখান থেকে গোল করে সমতা ফেরান বেনজেমা। কোচ দিদিয়ের দেশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে জাতীয় দলের বাইরে ছয় বছর কাটাতে হয়েছিল বেনজেমাকে। তারপরে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে নেমে পর্তুগিজদের বিপক্ষেই প্রথম গোল করলেন তারকা। বিরতিতে স্কোরলাইন ছিল ১-১।
হাফটাইমের পরেই বেনজেমা ফ্রান্সকে ২-১ এগিয়ে দেন। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। ৬০ মিনিটে রোনাল্ডো পেনাল্টি থেকেই গোল করে ২-২ করে দেন। এরপর কোনো দলই জয়সূচক গোল করতে পারেনি।
শেষ ষোলোয় পর্তুগাল মুখোমুখি হবে বেলজিয়ামের। আর ফ্রান্সকে খেলতে হবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন