মাত্র ১৫ মিনিট লাগিয়েছিলেন। জালে বল জড়াতে। জার্মানির বিরুদ্ধে শনিবার গো-হারান হেরেছে পর্তুগাল। ৪-২ গোলে জার্মানদের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পর্তুগালকে। হারের মধ্যেও উজ্জ্বল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নিজে একটা গোল করলেন। অন্যটা করলেন দিয়েগো জোতাকে দিয়ে।
তবে পর্তুগালের প্ৰথম গোল কাটাছেঁড়া করতে গিয়েই চোখ কপালে বিশেষজ্ঞদের। কীভাবে? ম্যাচের পরে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে ৩৬ বছরের তারকার শুরুর গোল করার সময় দৌঁড়ের গতি ছিল ঘন্টায় ৩২কিমি। ৯২ মিটার দৌঁড়ে তিনি গোল করেন। এই দূরত্ব পেরোতে সময় নিয়েছেন মাত্র ১৪.২ সেকেন্ড। কার্যত বিজ্ঞান কেই নাকি হারিয়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
আরো পড়ুন: রোনাল্ডোর মহা-রেকর্ড, পর্তুগালকে গোল-বন্যায় ভাসাল জার্মানি
সঠিক সময়ে সঠিক পজিশনে থাকা। রোনাল্ডোর কেরিয়ারের অধিকাংশ গোলের পিছনেই এই সহজ সরল সত্য। এরই প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছে জার্মানি ম্যাচেই। প্রতি আক্রমণ থেকেই রোনাল্ডো প্রথম গোল করে যান নুয়ারকে টপকে। আক্রমণ করতে জার্মানরা পর্তুগালের অর্ধে। আর হাইলাইন ডিফেন্স। এরই ফায়দা তুলে রোনাল্ডোর গোল।
জার্মানি পর্তুগালের বিরুদ্ধে কর্ণার আদায় করে নিয়েছিল। নিজেদের বক্সে কর্ণার থেকে বল ক্লিয়ার করেই সোজা ছুটতে থাকেন জার্মানি বক্সে। সেই সোলো রান ধরেই গোল! জার্মানি অর্ধে তখন জার্মানরা সংখ্যায় কম। তারই পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে সিআর-এর দর্শনীয় গোল। তবে ৩৬ বছর বয়সে ৩২ কিমি বেগে ছোটাই বিশেষজ্ঞদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তিনি কি কেবল একজন ক্রীড়াবিদ নাকি অতিমানব যে বিজ্ঞানকে মাঠে নেমেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটাই জার্মানির বিরুদ্ধে প্রথম গোল রোনাল্ডোর।
রোনাল্ডোর বিশ্বখ্যাত গোল-ও অবশ্য কাজে এল না। পর্তুগালকে মাথা নিচু করেই মিউনিখের মাঠ ছাড়তে হল। রোনাল্ডোর গোলে পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ার পরে রাফায়েল গুয়েইরো এবং রুবেন দিয়াজের আত্মঘাতী গোলে জার্মানি বিরতিতেই ২-১ করে ফেলে। দ্বিতীয়ার্ধে আরো আক্রমণের ঝড় বাড়িয়ে জার্মানদের হয়ে গোল করে যান কাই হাভার্টজ এবং রবিন গোসেন্স। শেষদিকে দিয়েগো জোটাকে দিয়ে রোনাল্ডো একটা গোল পরিশোধ করলেও কাজের কাজ হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন