কর্ণাটক প্রিমিয়র লিগে (কেপিএল) স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়াল দুই ক্রিকেটারের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার সিএম গৌতম ও তাঁর প্রাক্তন কর্ণাটক দলের সতীর্থ আবরার কাজিকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটকের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ম্য়াচ গড়াপেটার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে।
অতিরিক্ত কমিশনার সন্দীপ পাতিল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “কেপিএল স্পট ফিক্সিং মামলায় দু'জন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ১০ বছর নিষিদ্ধ পাক ক্রিকেটার নাসির জামশেদ
বেলারি টাস্কার্সের ক্য়াপ্টেন গৌতম ও কাজি ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত মুখ। আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন গৌতম। অন্যদিকে কাজি ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলেছেন। ২০১১ সালে ব্য়াঙ্গালোরের হয়ে একটি মাত্র ম্য়াচে খেলেছেন তিনি।
আগামী শ্রক্রবার থেকে শুরু সইদ মুস্তার আলি ট্রফি। গৌতম এখন গোয়ার হয়ে খেলেন, কাজির দল মিজোরাম। এই টুর্নামেন্টে দুজনেরই নাম রয়েছে। চলতি বছর কেপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয় বেলারি টাস্কার্স ও হাবলি টাইগার্স। আট রানে জিতে চ্য়াম্পিয়ন হাবলি টাইগার্স। এই ম্য়াচেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ গৌতম-কাজিদের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী অফিসার বলছেন, “ওদের মন্থর ব্য়াটিং করার জন্য় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওরা বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেও একটি ম্য়াচ ফিক্সিং করেছে বলে অভিযোগ।”
আরও পড়ুন-ক্রিকেটটাই কি ফিক্সড! ক্রিকেটারদের হাতের পুতুল বানাতে টি-২০ টুর্নামেন্ট
উইকেটকিপার-ব্য়াটসম্য়ান গৌতম এই কাণ্ডে সবচেয়ে বড় নাম। ৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কর্ণাটক দলরে নিয়মিত সদস্য় তিনি। এই মরসুমেই এসেছেন গোয়াতে। গত ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের বোলিং কোচ বিনু প্রসাদ ও ব্য়াটসম্য়ান বিশ্বনাথমকে এই স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বেঙ্গালুরু বনাম বেলাগাভি প্যান্থার্সের ম্য়াচটি প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে কোচের বিরুদ্ধে। বেলাগাভির আলি আশফাক তারা গ্রেফতার হওয়ার পরেই কেপিএল স্পট ফিক্সিং লাইমলাইটে আসে।