Famous Kabaddi Player Brijesh Solanki Died By Rabies: উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এক মর্মান্তিক ঘটনা। রাজ্য স্তরের কবাডি খেলোয়াড় ব্রিজেশ সোলাঙ্কির (Brijesh Solanki) (২২) সন্দেহজনক রেবিসে মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে তিনি একটি নর্দমা থেকে এক কুকুরছানাকে উদ্ধার করেছিলেন, সেই সময় তাঁকে হালকা কামড়ে দেয় ওই কুকুরছানা। মঙ্গলবার আধিকারিকরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন নেননি
ব্রিজেশ রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং প্রো কবাডি লিগে (Pro Kabaddi League) অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে তিনি অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন নেননি। মৃত্যুর কিছুদিন আগে থেকেই তাঁর মধ্যে রেবিসের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। মৃত্যুর একদিন পরে রবিবার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায়, কতটা খারাপ অবস্থায় ছিলেন তিনি।
ব্রিজেশের কোচ প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, ব্রিজেশ তাঁর হাতে ব্যথাকে কবাডির সাধারণ চোট বলে মনে করেছিলেন। কোচের কথায়, ‘‘ব্রিজেশ ভেবেছিল ওর হাতে ব্যথা খেলাধুলার সাধারণ জিনিস, আর কামড়টা খুব সামান্য ছিল বলে গুরুত্ব দেয়নি। সেই জন্যই ভ্যাকসিন নেয়নি।’’
আরও পড়ুন হোটেলের তিনতলা থেকে পড়ে ভয়াবহ মৃত্যুু, অকালেই প্রয়াত দেশের প্রথম আয়রনম্যান
রেবিসের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে
২৬ জুন প্র্যাকটিসের সময় ব্রিজেশ হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ব্রিজেশের ভাই সন্দীপ কুমার জানান, হঠাৎ করেই ব্রিজেশের জলে ভয় লাগতে শুরু করে, যা রেবিসের একটি বড় লক্ষণ। সন্দীপ বলেন, ‘‘হঠাৎ ওর মধ্যে জলের প্রতি ভয় দেখা দিল। এরপর খুরজা, আলিগড়, এমনকি দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলোতেও ওর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করা হয়। নয়ডায় চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে ওঁ রেবিসে আক্রান্ত। শনিবার মথুরায় এক হাঁতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে ওঁ মারা যায়।’’
ব্রিজেশ তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন এবং ফারানা গ্রামে থাকতেন। মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দফতরের দল গ্রামে গিয়ে ২৯ জন গ্রামবাসীকে টিকা দেয় এবং সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করে। সিএমও ড. সুনীল কুমার দোহারে জানান, ‘‘কোনও কুকুর, বাঁদর বা অন্য কোনও প্রাণী কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত।’’
এই ঘটনাটি আবারও রেবিস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অনুরোধ করেছেন, যে কোনও পশুর কামড়কে হালকাভাবে না দেখে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা নিতে হবে। সময়মতো টিকাকরণই রেবিস প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।