Advertisment

ভারত-ই নয় শুধু, পাকিস্তান সহ এসব দেশও ফিফার নির্বাসনে পড়েছিল! জানুন তালিকা

শুধু ভারত-ই নয়, ফিফার তরফে এর আগে একাধিক দেশকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

ভারত ফিফার নির্বাসনে পড়েছে। ফেডারেশনের পরিচালনায় সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ফিফা। শেষমেশ যা দাঁড়ায় ফিফার নির্বাসনে। তবে ভারত-ই প্ৰথমবার নয়, এর আগে একাধিক দেশ ফিফার নির্বাসনে কবলে পড়েছে। দেখে নেওয়া যাক, সেই তালিকা-

Advertisment

পাকিস্তান (২০১৭, ২০২১): ভারতের মত একই 'তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের' কারণ দেখিয়ে ফিফা নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তানকে। পাকিস্তান ফুটবল সংস্থাতেও সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে প্রশাসকমন্ডলীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরে ফিফার সতর্কবার্তাতেও কাজ হয়নি। শেষমেশ ২০২১-এ নির্বাসনের কবলে পড়ে পাকিস্তান। তার আগে ২০১৭-তেও পাকিস্তানকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ফিফার নির্বাসনের জের! কার্যত ‘পথে বসে গেল’ ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান

চাদ (২০২১): আফ্রিকান এই দেশের ফুটবলে ডামাডোল শুরু হয়েছিল দেশের ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে ফুটবল সংস্থার গোলযোগের কারণে। তারপরেই চাদের কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কমিটি ঘোষণা করে। এতেই অসন্তুষ্ট হয়ে ফিফা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চাদকে। গত বছরই অবশ্য এই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়।

জিম্বাবোয়ে, কেনিয়া (২০২২): চাদের নির্বাসন উঠতে না উঠতেই আরও দুই আফ্রিকান দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করে ফিফা। জিম্বাবোয়ের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন কমিশন ফুটবল ফেডারেশনের দখল নেয়। এমন ডামাডোলের মধ্যেই জিম্বাবোয়েকে নিষিদ্ধ করে ফিফা।

একইভাবে কেনিয়া ফুটবল সংস্থাতেও সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ফিফার নির্বাসন জোটে।

বেনিন (২০১৬): দেশের আইনি সংস্থা বেনিন ফুটবল সংস্থায় হস্তক্ষেপ করেছিল। বেনিনের ফুটবল নির্বাচন ইস্যুতে আইনি সংস্থার হস্তক্ষেপ মানতে চায়নি ফিফা। শেষমেশ নির্বাসিত হতে হয় বেনিনকে। ২০১৬-তেই সেই ব্যান উঠে যায়।

আরও পড়ুন: আশিয়ানের সেই বেক তেরো সাসানা! সেখানকার ব্রাজিলীয়ই এবার ইস্টবেঙ্গলের তুরুপের তাস

কুয়েত (২০১৫): ২০০৭ এবং ২০০৮-এ দু-বার ব্যানড হওয়ার পরে কুয়েতকে তৃতীয়বারের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়। কুয়েত সরকারের তরফে একটি বিল পাস করা হয়েছিল সংসদে। যাতে দেশের ফুটবল সংস্থার স্বশাসনের ওপর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফিফা স্ট্যাটাস কেড়ে নেওয়া হয় কুয়েতের কাছ থেকে। দু-বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

ইন্দোনেশিয়া (২০১৫): ইন্দোনেশিয়ান লিগে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এক বছর পর সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়।

গুয়েতমালা (২০১৬): গুয়েতমালা ফুটবল সংস্থায় দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা মানতে চায়নি দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। এতেই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে গুয়েতমালা।

আরও পড়ুন: বাগানে বড় দুঃসংবাদ! হ্যামিল সহ চার তারকাকে নিয়ে ঘুম উড়ল কোচ ফেরান্দোর

ইরাক (২০০৮): সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে ইরাককে ২০০৮ সালে ফিফা ব্যান করে। ২০১০-এ সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়।

ব্রুনেই (২০০৯): সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ফিফা ব্রুনেইয়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেয়।

নাইজেরিয়া (২০১৪): সরকারের তরফে দেশের ফুটবল সংস্থার দৈনন্দিন কাজে নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছিল। যা শেষমেশ দাঁড়ায় ফিফা নির্বাসনে।

AIFF pakistan Indian Football FIFA
Advertisment