FIFA Football World Cup 2018, Portugal vs Morocco preview: আর কয়েক ঘণ্টা পরেই রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে পর্তুগালের মুখোমুখি মরক্কো। স্পেনের বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করেই বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল। ম্যাচে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে একাই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁর দুরন্ত ফ্রি-কিক নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা। অন্যদিকে ইরানের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরেছে মরক্কো। আজও রোনাল্ডো গোল করবেন বলেই আশাবাদী আপামোর সিআর সেভেনের ফ্যানেরা। এই মানুষটার দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছে পর্তুগাল।
বিশ্বকাপের মাঝখানেই রোনাল্ডোর পরবর্তী ক্লাব নিয়ে এখন জোর খবর।চলতি মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পরেই রোনাল্ডো সুকৌশলে ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সিআর সেভেন নিজের পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেজডে ফিরবেন বলেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন যানা যাচ্ছে যে, নেইমারের ক্লাব প্যারিস সাঁ জাঁ তাঁকে ২৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডেই স্পেন থেকে ফ্রান্সে নিয়ে আসতে চাইছে। এমনটাই রিপোর্ট স্প্যানিশ পত্রিকা ‘মুন্ডো ডেপোরটিভো’র। রোনাল্ডোর জন্য মরসুম পিছু ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫৮ কোটি টাকার উপর) খরচ করতে ইচ্ছুক তারা।
এ মাসের শুরুতেই একটি সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোর মা মারিয়া ডলোরেস জানিয়েছিলেন যে, তিনি চান তাঁর ছেলে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেই ফিরুক। রোনাল্ডো প্যারিসে খেললেও মারিয়ার কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলছেন, “শেষবার রোনাল্ডো যখন ব্যালন ডি’অর পেয়েছিল তখন আমি প্যারিসে এসেছিলাম। এখানে ভীষণ ভাল ব্যবহার পেয়েছিলাম। রোনাল্ডো প্যারিসে সই করতেই পারে। কিন্তু আমি চাইব ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ফিরুক।”
ফেরা যাক পর্তুগাল-মরক্কো ম্যাচে। এর আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপেই একবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। মরক্কো সেবার ৩-১ জিতেছিল পর্তুগালের বিরুদ্ধে।
২০০২-এর পর থেকে পর্তুগাল কোনও অ ইউরোপীয় দেশের বিরুদ্ধে হারেনি (পাঁচটি জয় ও তিনটি ড্র)। ২০০২-তে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ১-০ হারিয়েছিল।
মরক্কো ৬৮ শতাংশ বল পসেসন নিয়েই ইরানের কাছে হেরেছিল।২০১০ বিশ্বকাপের পর কোনও হারা দলের এটাই সবচেয়ে বেশি বল নিজের কাছে রাখার নজির। ২০১০-এ স্পেন ম্যাচে ৭৩ শতাংশ দখল নিয়েও সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ হেরেছিল।
ইরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কো একটিও শট ফেস করেনি। কিন্তু ৯৫ মিনিটের আত্মঘাতী গোলেই তারা হেরে যায়।
আজিজ বউহাদুজ বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে আত্মঘাতী গোল করার রেকর্ড করেন। এর আগে হাঙ্গেরির লাসলো আকা (১৯৮৬-তে ইএসএসআর-এর বিরুদ্ধে) ও পর্তুগালের পেতিত (২০০৬-এ জার্মানির বিরুদ্ধে) এই কাণ্ড ঘটান।