Pakistan would remain suspended: পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করল বিশ্ব ফুটবল সংস্থা- ফিফা। তারা জানিয়েছে, পিএফএফ সংবিধান সংশোধন না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর সাসপেনশন বহাল থাকবে। পাকিস্তান ফুটবল সংস্থার ওপর ফিফার রাগের কারণ, পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন তাদের সংবিধানের সংশোধন করতে পারেনি। এই সংবিধান সংশোধন, পাকিস্তান ফুটবলকে মসৃণভাবে চালানো এবং পাকিস্তান ফুটবল সংস্থাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে শাসন করার জন্য জরুরি বলেই ফিফার ধারণা। আর, সেই কারণেই ফিফা জানিয়ে দিয়েছে যে, পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন তাদের সংবিধান সংশোধন না করা পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশটির ওপর সাসপেনশন বহাল থাকবে।
পাকিস্তান ফুটবল ২০১৯ সালের জুন থেকে ফিফা নিযুক্ত একটি নরমালাইজেশন কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই কমিটিকে পাকিস্তান ফুটবল প্রশাসনে নির্বাচন করা এবং ফুটবল পরিকাঠামোয় সমান্তরাল সংগঠন অপসারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কমিটি ফিফার সেই পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত পাঁচবার নরমালাইজেশন কমিটির প্রধান ও সদস্য বদলেছে। কিন্তু, পাকিস্তান ফুটবলের মূল বিষয়গুলো একইরকম থেকে গেছে।
ফিফার নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে কমিটি সরকার-চালিত পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে। কিন্তু, সেই বিবাদ করেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, পিএফএফ নরমালাইজেশন কমিটির চেয়ারম্যান হারুন মালিক একটি সংসদীয় প্যানেলকে সতর্ক করে জানিয়েছিলেন যে ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদের শেষ দিন। তার মধ্যে পাকিস্তান ফুটবলের সাংবিধানিক সংশোধনী বাস্তবায়িত না-হলে ফিফা পাকিস্তান ফুটবলকে সাসপেন্ড করতে পারে।
আরও পড়ুন- স্যামসনের কেরিয়ার ধ্বংস করতে ছক? ফাঁস করতেই শ্রীসন্থকে নজিরবিহীন আক্রমণ
মালিক এটাও আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তান ফুটবলের সংবিধান সংশোধন করার অর্থ এই নয় যে তিনি সেদেশের ফুটবল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। কিন্তু, তারপরও মালিকের আশ্বাসকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন কংগ্রেসই ফিফার নির্দেশিত সংশোধনীগুলি লাগু করতে ইচ্ছুক নয়। মালিকের এই অভিযোগে অচলাবস্থা চূড়ান্ত রূপ পায়। তবে, সাসপেন্ড হলেও পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের ওপর সাসপেনশন প্রথমবার লাগু হল না। ২০১৭ সালের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার সাসপেন্ড হল পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন।