KCA has issued a show cause notice to S Sreesanth: সঞ্জু স্যামসনকে বাদ দেওয়া ইস্যুতে 'মিথ্যা এবং মানহানিকর' বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এস শ্রীসন্থকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করল কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেসিএ/KCA)। তাদের অভিযোগ, একটি টেলিভিশন শো-এ অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা এবং মানহানিকর' বিবৃতি দিয়েছেন শ্রীসন্থ। কেরলের ঘরোয়া সাদা বলের মরশুমে কেন সঞ্জু স্যামসনকে বাদ দেওয়া হল? কেসিএকে শ্রীসন্থ সেই প্রশ্ন করেছিলেন। বিজয় হাজারে টুর্নামেন্ট না খেলার জন্য স্যামসনকে ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
কেসিএর দাবি, তারা স্যামসনকে সমর্থন দেখানোয় শ্রীসন্থকে নোটিস পাঠায়নি। বরং, 'মিথ্যা এবং মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ায়' নোটিস পাঠিয়েছে। কেসিএ বলেছে, কেরল ক্রিকেট লিগে কোল্লাম সেইলরস ফ্র্যাঞ্চাইজির সহ-মালিক হিসেবে শ্রীসন্থের বিবৃতি তাঁর চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। শ্রীসন্থের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, কেসিএ প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কুখ্যাত স্পট-ফিক্সিং মামলাও উত্থাপন করেছে। কেসিএ জানিয়েছে যে তারা সবসময় খেলোয়াড়দেরকেই সমর্থন করে। এমনকী, খেলোয়াড়রা জেলে থাকলেও তাদেরকেই সমর্থন করে গিয়েছে।
কেসিএর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'শ্রীসন্থ যখন কুখ্যাত ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলে ছিলেন, তখন কেসিএ কর্তারা তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। আদালত ফৌজদারি মামলা বাতিল করলেও ম্যাচ ফিক্সিং মামলায় শ্রীসন্থ খালাস পাননি, এটাই সত্য। এই পরিস্থিতিতে, শ্রীসন্থের অন্য খেলোয়াড়দের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পাশে থাকার দরকার নেই,'- বলেই জানিয়েছে কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
২০১৩ সালে, দিল্লি পুলিশ স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শ্রীসন্থকে গ্রেফতার করেছিল। ২০১৩ সালের আইপিএল স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়া তিন জন রাজস্থান রয়্যালস খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন শ্রীসন্থ। জুলাই ২০১৫ সালে, পাতিয়ালা হাউস কোর্ট- স্পট ফিক্সিং মামলায় শ্রীসন্থ, চান্দিলা এবং চ্যাবনের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিল। আদালত জানিয়েছিল যে, ওই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মোকা (MCOCA/মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট)-এর কোনও মামলা নেই। তারপর, ২০১৯ সালের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট শ্রীসন্থের ওপর থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
সেসব তাদের অজানা নয়। তারপরও কেসিএ বলেছে, 'শ্রীসন্থের সাজা শেষের পর তাঁকে রঞ্জি ট্রফি-সহ ম্যাচগুলিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনগুলি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের এমন সুযোগ দিয়েছে কি না, তা তদন্ত করার মত।' পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন শ্রীসন্থও। তিনি বলেছেন, 'কেসিএ কি স্যামসনের পরে কোনও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় তৈরি করতে পেরেছে?' জবাবে কেসিএ, 'কেরল ক্রিকেট সম্পর্কে শ্রীসন্থের অজ্ঞতা'র নিন্দা করেছে। তারা জানিয়েছে, 'সজনা সজীবন, মিন্নুমণি, আশা শোবানা ও জোশিথা ভিজের মতো জুনিয়র খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন। নাজলা সিএমসি ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ দলে ছিলেন মহম্মদ ইনান।'
শ্রীসন্থ অবশ্য তাতে থামেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, 'কেসিএ আমাদের হয়ে খেলতে অন্য রাজ্যের খেলোয়াড়দের নিয়ে আসছে। কীসের জন্য? এর মাধ্যমে আমাদের মালয়ালি ক্রিকেটারদের অসম্মান করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের মাত্র একজন খেলোয়াড় আছে, সঞ্জু। আসুন আমরা সবাই তাঁকে সমর্থন করি। কেসিএ সঞ্জুর পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তৈরি করেনি। আমাদের কাছে শচীন, নিধেশ, বিষ্ণু বিনোদের মত দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় আছে। কেসিএ কি তাদের অগ্রগতিতে সাহায্য করছে?'
আরও পড়ুন- শ্রেয়স অসাধারণ! তার পরও কী হিসেবে বাদ যায়? নির্বাচকদের তুলোধনা প্রাক্তন তারকার
স্যামসন ইস্যুতেও মুখ খুলেছে কেসিএ। কেসিএ সচিব বিনোদ এস কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'সঞ্জু আমাদের একটা ইমেল পাঠিয়েছিল। তাতে জানায় যে ও ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবে না। ওঁকে ছাড়াই আমরা ওয়েনাদে একটি ছোট ক্যাম্প চালাই। আমরা শুধুমাত্র তাঁদেরকেই নিয়েছি, যাঁরা ক্যাম্পে ছিল। সঞ্জুকে নিয়ে আর তাই কোনও আলোচনা হয়নি।'