হাতে আর তিন বছর। তারপরেই কাতারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। ফিফা-র পরিকল্পনা ছিল যে, কাতার বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়বে। অর্থাৎ ৩২ এর বদলে ৪৮ দেশের লড়াই দেখবে ফুটবলবিশ্ব। কিন্তু আপাতত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না ফিফা। ফলে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়ে দিল যে, কাতারে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ছে না। ৩২ দেশীয় বিশ্বকাপই দেখতে চলেছে আরব দেশটি।
ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, "বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয় আমরা সবিস্তারে পর্যালোচনা করেছি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে। কিন্তু এখন যা পরিস্থতি তাতে সেটা দেশের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। পুরো বিষয়টির জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা হাতে নেই। ফলে ৩২ দেশের বিশ্বকাপ হচ্ছে কাতারে।"
আরও পড়ুন: কাতারেই সম্ভব ৪৮ দলের বিশ্বকাপ, বলছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট
গতবছর অক্টোবরে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনসের বার্ষিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল কুয়ালা লামপুরে। তখনই ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো বলেছিলেন যে, ২০২২-এ ৩২ দলের বদলে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ সম্ভব। তিনি বলেছিলেন, “৪৮ দলের বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে হবে। কিন্তু কেন ২০২২-এ নয়! এটা অসম্ভব কিছু নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ভাবতে হবে, কেন নয়! আমরা কাতারের বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। এছাড়াও ওই অঞ্চলের অনেকের সঙ্গেই আমরা কথা বলছি। আমরা আশাবাদী ৪৮ দলের বিশ্বকাপে।”
বাস্তবে আরও ১৬টি দল বাড়লে কাতারের মতো ছোট মরু দেশের পক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্ততি আরও জটিল হয়ে যেত। কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, বাহারিন, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কোনও রকম কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এই দেশগুলি কাতারকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্যই অভিযুক্ত করেছে। অনান্য মরু দেশ বলতে রয়েছে কুয়েত এবং ওমান। সেখানে বিশ্বকাপ আয়োজনের মতো পরিকাঠামো নেই। ফলে ২০২৬-এ হবে ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ। ২০১৭-র জানুয়ারিতে ফিফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা হবে ৪৮টি। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা যৌথভাবে আয়োজন করবে ফুটবলের মেগা কার্নিভাল।