ভারত- ১ (সেমিলেন)
আফগানিস্তান- ১ (জেলফি নাজারি)
ঠিক যেন বাংলাদেশ ম্যাচের রিপিট টেলিকাস্ট। যুবভারতীতে প্রথম গোল হজম করে বসেছিল ভারত। শেষ লগ্নে আদিল খানের হেডে গোল করে সমতা ফিরিয়ে মানরক্ষা করেছিল ভারত। সেই একই ফলাফল তাজিকিস্তানের দুশানবে-তে। প্রথমার্ধে গোল হজম করার পরে দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে টিম ইন্ডিয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা। এবং সংযোজিত সময়ে গোলশোধ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সুনীল ছেত্রীদের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যুবভারতীতে যে দল কোনওরকমে ড্র করেছিল, সেই একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন ঘটিয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। আনাস ইডাথিডোকা, মনবীর সিং এবং অনিরুদ্ধ থাপাকে বাইরে বসিয়ে প্রথম একাদশে কোচ নিয়ে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ এবং প্রণয় হালদারকে।
খেলায় বাঁশি বাজার মুহূর্ত থেকেই আফগানরা নিয়ন্ত্রণ করে গেল খেলা। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য আমিরিদের। ভারতের অর্ধে একের পর এক চাপ বাড়াচ্ছিল আফগানিস্তান। সেই চাপের মুখে নতি স্বীকার করেই আফগানিস্তানের প্রথম গোল এল বিরতির ঠিক আগে। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে ডেভিড নাজিমের স্কোয়ার পাস ধরে গোল করে যান জেলফি নাজরি। প্রীতম, আদিলদের পারস্পরিক যোগাযোগ যে কতটা দুর্বল প্রথম গোলেই তা স্পষ্ট।
বিরতির আগে ভারত বেশ কিছু হাফচান্স পেলেও তা থেকে গোল আসেনি। আফগান ফুটবলাররা প্রতি মুহূর্তে যেমন গুরপ্রীতের পরীক্ষা নিলেন। ঠিক তার উলটো ঘটল আফগান গোলকিপারকের ক্ষেত্রে। দু-বার বাদ দিয়ে সুনীল-উদান্তারা আজিজিকে সমস্যায় ফেলতে ব্যর্থ।
FULL-TIME! And that's the end of that! The referee blows the whistle, as the two teams share the spoils.
???????? 1-1 ????????#AFGIND ⚔ #BackTheBlue ???? #IndianFootball ⚽ #BlueTigers ???? pic.twitter.com/cJwafhDRCq
— Indian Football Team (@IndianFootball) November 14, 2019
বিরতির পরেই মন্দারকে তুলে কোচ স্টিম্যাচ নামিয়েছিলেন ফারুখ চৌধুরী। মাঝামাঝি সময়ে গোল করার তাগিদে সামাদকে বসিয়ে নামানো হয় মনবীরকে। তবে এই জোড়া পরিবর্তন খেলার ফলাফলে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ।
আরও পড়ুন FIFA WCQ: মরণ বাঁচন ম্যাচে সুনীল ছেত্রীদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান
দ্বিতীয়ার্ধে ভারত অনেক সদ্বর্থক খেলা উপহার দিল। বল পজেশন থেকে আক্রমণে সুনীলরা ক্রমাগত আফগানিস্তানকে চেপে ধরছিলেন। তবে কাজের কাজ গোলটাই যা হচ্ছিল না। ৫৮ মিনিটে আশিকের কাছ থেকে থ্রু বল পেয়ে বাঁ প্রান্তিক আক্রমণে বক্সের মধ্যে দারুণ সেন্টার করেছিলেন। তবে সুনীল ছেত্রী মিস করে বসেন।
তবে টানা আক্রমণের ঢেউ পুরো ম্যাচ জুড়ে থামাতে ব্যর্থ আফগান ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কর্ণার পেয়েছিল ভারত। নিখুঁত কর্ণার তুলেছিলেন ব্রেন্ডন। সেখান থেকে হেডে দারুণ গোল সেমিলেন ডঙ্গেলের।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারত এখনও পর্যন্ত হার হজম করেনি। তবে ড্রয়ের গণ্ডি থেকেও বেরোতে ব্যর্থ। ভারত পরের ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হবে দেশের মাঠে।
ভারতীয় একাদশ: গুরপ্রীত সাঁধু, প্রীতম কোটাল (সেমিলেন ডঙ্গেল), রাহুল ভেকে, আদিল খান, মন্দার রাও দেশাই (ফারুখ চৌধুরী), প্রণয় হালদার, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, উদান্তা সিং, আবদুল সামাদ (মনবীর সিং), আশিক কুরিয়ান, সুনীল ছেত্রী