পর্তুগাল ১ (কোয়ারেসমা ৪৫')
ইরান ১ ( আনসারিফার্দ ৯৩')
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর একটা আদিম প্রশ্ন আবার মাথা চাড়া দেবে। ভিডিও এসিস্টেন্ট রেফারি (ভিএআর) কি প্রযুক্তির আশীর্বাদ না অভিশাপ!
সোমবার সারানস্কের মোরদোভিনা এরিনায় মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল-ইরান। অমীমাংসিত ম্যাচের শেষ হল ১-১ ব্যবধানে। গোটা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা হলুদ কার্ড ও বেশ কয়েকবার ভিএআর-এর উপস্থিতিই ম্যাচের রং বদলে দিল। এই কারণেই খেলাটা গতি হারাল ও দফায় দফায় থামল।
শুরুটা বেশ দুরন্ত মেজাজেই করেছিল ফার্নান্দো স্যান্তোসের শিষ্যরা। পর্তুগালকে রুখতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছিল কার্লোস কুইরোজের ইরান।
আরও পড়ুন : ICC Women’s World T20: কিউইদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হরমনপ্রীতদের, অভিষেক করছে DRS
এদিন ম্যাচের ৪৫ মিনিটে অদ্রিয়ান সিলভার পাস থেকে ১৮ গজ দূর থেকে বুলেট শটে গোল করলেন রিকার্ডো কোয়ারেসমা। বিরতিতে ১-০ গোলে এগিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের আট মিনিটের ভিতর পর্তুগালের সামনে পেনাল্টিতে গোল করার সুবর্ন সুযোগ চলে আসছে। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ইরানিয়ান গোলকিপার আলি বেইরানভানদের হাতে আটকে যান।
এই ম্যাচের আগেই কথা হচ্ছিল যে, খেলাটা ইরানিয়ান কোচ কুইরোজ বনাম রোনাল্ডো। কুইরেজ অতীতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ও পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ ছিলেন অনেকদিন। রোনাল্ডোর কাছে তিনি ছিলেন বাবার মতোই কেউ একজন। সেই প্রাক্তন কোচের আটকে গেলেন গত দু'ম্যাচ মিলিয়ে চার গোল করা সিআর সেভেন। হতাশাই সঙ্গী থাকল তাঁর।
ম্যাচের অন্তিমলগ্নে একটা গোল পেয়ে গেলন ইরানের কে আনসারি ফার্ড। এই গোলটাও সেই ভিএআর-এর সৌজন্যে। এই নিয়ে পাঁচবার বিশ্ব কাপের ছাড়পত্র পেয়েও ইরান গ্রুপ স্টেজের গণ্ডি প্ররোতে পারল না। ৭৮, ৯৮, ২০০৬, ২০১০-এর পর চলতি ২১ তম আসরেও একই চিত্র। অন্যদিকে ১৯৬৬, ২০০৬, ২০১০-এর পর এবার ফের নক-আউটে পর্তুগাল।