Advertisment

FIFA World Cup 2018: ২২ ম্যাচে ১৬ জন ক্যাপ্টেন, ব্রাজিল দলের রহস্যটা কি?

ব্রাজিল দলে প্রতিনিয়ত ক্যাপ্টেন বদলের আসল কারণ অবশ্য দলের সমস্ত খেলোয়াড়ের সমানাধিকার নয় বরং একেবারে উল্টো। আসলে এই প্রতিনিয়ত ক্যাপ্টেন বদলের মাধ্যমে তিতে ব্রাজিল দলকে মাঠের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রন করতে চান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

FIFA World Cup 2018, Brazil vs Switzerland: গত দুবছরে তিতে ব্রাজিল দলের মেজাজটাই বদলে দিয়েছেন।

২০১৬ সালে তিতে ব্রাজিলের কোচ হবার পর ব্রাজিল এখনও অবধি ২৩টি ম্যাচ খেলেছে। এবং কোস্টারিকার বিরুদ্ধে শুক্রবার ম্যাচটি ধরলে থিয়াগো সিলভা হবেন দলের ১৬তম ক্যাপ্টেন। মাত্র ২৩টি ম্যাচে ১৬জন ক্যাপ্টেনের হিসেবটা আক্ষরিক অর্থে একটু গোলমেলে শোনালেও এর পেছনে রয়েছে কোচের সুগভীর ভাবনা।

Advertisment

রবিনহো এবং দানি আলভেজের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারের পাশাপাশি আর্মব্যান্ড পরার সৌভাগ্য হয়েছে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মত নতুন ফুটবলারেরও। ব্রাজিল দলে প্রতিনিয়ত ক্যাপ্টেন বদলের আসল কারণ অবশ্য দলের সমস্ত খেলোয়াড়ের সমানাধিকার নয় বরং একেবারে উল্টো। আসলে এই প্রতিনিয়ত ক্যাপ্টেন বদলের মাধ্যমে তিতে ব্রাজিল দলকে মাঠের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রন করতে চান। এই কারণেই ব্রাজিল দলের কোন নির্দিষ্ট ক্যাপ্টেন নেই। কিন্তু এতজন খেলোয়াড়ের মধ্যে সেরা হয়েছেন কারা? কেই বা ক্যাপ্টেন হিসাবে চুড়ান্ত ব্যর্থ? জেনে নিন।

সেরা ক্যাপ্টেন

তিতের কোচিংয়ে এখনও অবধি ব্রাজিল তাদের সেরা ম্যাচটি খেলেছিল উরুগুয়ের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের অনুশীলন পর্বের এই ম্যাচটি ব্রাজিল ৪-১ গোলে জেতে। সেলকাওদের হয়ে এই ম্যাচটির ক্যাপ্টেনসি করেছিলেন দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মিরান্ডা।  এই ম্যাচে ব্রাজিল গোলে শট নেয় ৬টি যার মধ্যে ৪টিই গোল হয়েছিল।

আরও পড়ুন- Brazil Vs Costa Rica: কী করবেন নেইমাররা ? দেখে নিন কোস্তা রিকার সঙ্গে হেড-টু-হেড

ব্যর্থ কে?

শুনতে অবাক লাগলেও রিয়াল মাদ্রিদের তারকা খেলোয়াড় মার্সেলোই এখনও অবধি ব্রাজিলের সবচেয়ে ব্যর্থতম ক্যাপ্টেন। ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিল দল যথেষ্ট ভাল খেলে এবং একটি গোলও করে। কিন্তু পরে নিজেদের মধ্যে পজিশন সংক্রান্ত বোঝাপড়ার অভাবে ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। এই ম্যাচে মোট ২১টি গোলমুখী শটের মধ্যে মাত্র ৪টি লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।

উল্লেখযোগ্য ক্যাপ্টেন

৩ জুন, ২০১৮-তে ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ ২-০ গোলে জেতে। এই ম্যাচের ক্যাপ্টেন ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ২১-বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ১৯৫৫-সালের পর এখনও অবধি তিনিই ব্রাজিলের সবচেয়ে কমবয়সী ক্যাপ্টেন।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেশীরভাগ বিজয়ী দলের ক্যাপ্টেনই মাঠ কাঁপিয়েছেন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ববি মুর, দিয়েগো মারাদোনা, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার, লোথার ম্যাথিউস, দিদিয়ের দেশঁ, ফ্যাবিও ক্যানাভারো অথবা ফিলিপ লামের কথা। আসলে খেলা চলাকালীন দলের ডিসিপ্লিন এবং মোর‍্যাল যেভাবে একজন ক্যাপ্টেন উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, সেভাবে আর কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। কোচের ইঙ্গিত সেসময় অনেক খেলোয়াড়ের কাছেই পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন- FIFA World Cup 2018: পর্তুগাল মানে কি শুধুই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো?

ম্যাচে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে রেফারি সবসময় দুই দলের ক্যাপ্টেনদের সঙ্গেই কথা বলেন। কোচের ভূমিকা এক্ষেত্রে ব্রাত্য। স্বাভাবিকভাবেই, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন সফল করতে প্রয়োজন একজন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেনের।

এখনও অবধি যারা ব্রাজিল দলের ক্যাপ্টেন হয়েছেন- মিরান্দা, দানি আলভেজ, রেনাটো অগাস্টো, ফিলিপ লুই, ফার্নান্ডিনহো, রবিনহো, নেইমার, থিয়াগো সিলভা, ফিলিপ কুটিনহো, মার্সেলো, পলিনহো, ক্যাশেমিরো, মার্কুইনস, উইলিয়ান, অ্যালিসন, গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

brazil 2018 FIFA World Cup
Advertisment