দুই ম্যাচে চার গোল। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই হেডলাইন দখল করে রেখেছেন স্বঘোষিত "সর্বকালের সেরা ফুটবলার" ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই বিশ্বকাপে ২০১৬-র ইউরো কাপ জয়ী দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পর্তুগালের অধিনায়ক। বছর ৩৩-এর এই বিশ্বখ্যাত ফুটবলার প্রথম ম্যাচ থেকেই দলকে কাপ জয়ের ভরসা যোগাচ্ছেন নিজে গোল করে।
এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠতেই পারে তিনি না-খেললেও কি একই ভাবে এগিয়ে যাবে দল পর্তুগাল? ইউরো কাপের ফাইনালের দিন ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিটের মাথায় রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেও সেদিন এডারের গোলে ট্রফি জেতে পর্তুগাল। ফুটবল মাঠে সবকিছুই দ্রুত বদলে যায়। প্রথম দুই ম্যাচে রোনাল্ডো খেলেছেন ঠিকই। কিন্তু এমনও হতে পারে যে, কোন ম্যাচে তাঁকে ছাড়াই নামতে হতে পারে ফার্নান্দো স্যান্টোসের শিষ্যদের। সেদিন তাঁদের প্রয়োজন পড়বে আরেকজন এডারের।
প্রস্তুতি ম্যাচে আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে শিরোনামে উঠে এসেছিল গনসালো গুইডেসের নাম।সেসময় টানা ভাল খেলার সুবাদে তিনি দলে ঠাঁই পেলেও গত দুই ম্যাচে একেবারেই চোখে পড়েননি। বুধবার মরোক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় তিনি গোলমুখী প্রথম শট নেন। তবে সেক্ষেতেও পাস বাড়িয়েছিলেন সেই রোনাল্ডোই। কিন্তু শহজ সেই সুযোগটিও ঠিকমত কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন- FIFA Football World Cup 2018, Argentina vs Croatia: মেসির মঞ্চে আলো জ্বালাতে পারেন পাভন
প্রথম ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে পর্তুগালকে শক্তিশালী দেখাচ্ছিল শুধু রোনাল্ডোরই কারণে। তবে মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে পর্তুগাল দলের মিডফিল্ডের খামতিগুলো।দলের মিডফিল্ড ত্রয়ী বার্নান্ডো সিলভা, জোয়াও মুটিনহো এবং ব্রুনো ফার্নান্ডেজ নব্বই মিনিট জুড়ে কোন দাগই কাটতে পারেননি। রোনাল্ডো একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মাঠজুড়ে।
মরক্কো ম্যাচে দল তিন পয়েন্ট পেলেও কোচ স্যান্টোসের এবার ভাবা প্রয়োজন কিভাবে পর্তুগালের অতিরিক্ত রোনাল্ডো নির্ভরশীলতা কমানো যায়। একজন অভিজ্ঞ কোচ হিসাবে তিনি নিশ্চয়ই বোঝেন একক প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব নয়।ইরানের বিরুদ্ধে পর্তুগালের পরবর্তী ম্যাচে তাঁকে অন্যভাবে ছক কষতে হবে। কারন ইরানের ডিফেন্স অন্য দলের তুলনায় যথেষ্ট মজবুত। সেটা স্পেনের বিরুদ্ধেই বোঝা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- FIFA World Cup 2018 Ronaldo tax fraud: হ্যাটট্রিকের নায়ক এবার হাজতে?
মরক্কোর মত বাকি দলগুলোও গোল করতে ব্যর্থ হবে একথা না ভাবাই ভাল। কিন্তু, আপাতত রোনাল্ডোর ওপর পর্তুগালের অতি নির্ভরশীলতা নিয়ে মারাদোনার সতর্কবার্তা সত্যি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।