ব্রাজিল: ৪ (নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস, লুকাস)
দক্ষিণ কোরিয়া: ১ (পাইক)
দক্ষিণ কোরিয়ার বাধা টপকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহাদের সামনে কার্যত প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না দক্ষিণ কোরিয়ানরা। ব্রাজিলের কাছে ১-৪ গোলে বিধ্বস্ত হল দক্ষিণ কোরিয়া।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে রোমাঞ্চকর জয়ের পর ৭২ ঘন্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই নকআউটের যুদ্ধে নেমে পড়তে হয়েছিল। কোরিয়ান কোচ ম্যাচের আগেই পর্যাপ্ত রিকভারির অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আগেভাগেই কোরিয়ানরা স্বীকার করে নিয়েছিলেন ম্যাচে ব্রাজিলই ফেভারিট। গোটা ম্যাচে সেই 'ক্লান্ত' কোরিয়ানদের উড়িয়ে দিতে সমস্যা হয়নি ব্রাজিলের।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্লাবের বিরুদ্ধে নামতে পারেন রোনাল্ডো! বিরাট বড় ঘোষণা আসতে চলেছে বিশ্বকাপের পরেই
চোট সারিয়ে নেইমার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করলেন দুরন্তভাবে। গোল করলেন, গোল করালেন। ৭ মিনিটের মধ্যেই প্রথম গোল হজম করে বসে দক্ষিণ কোরিয়া। রাফিনহার ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে।দুর্ধর্ষ ফিনিশ করে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। গোল বন্যার সেই সূচনা। তারপরে আর আটকে রাখা যায়নি।
প্ৰথম গোল হজম করার ঠিক ছয় মিনিট পরে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। রিচার্লিসনকে আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন কোরিয়ান ডিফেন্ডাররা। স্পট কিক থেকে ব্রাজিলকে ২-০ এগিয়ে দেন নেইমার। সবমিলিয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে ৭৬তম গোল হয়ে গেল তারকার। শীর্ষে থাকা পেলের থেকে তিনি পিছিয়ে মাত্র ১ গোলে।
রিচার্লিসন কবিতার মত গোল করা অভ্যেস করে ফেলেছেন। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সাইড ভলিতে সেই গোলে রাতারাতি ছয় মিলিয়ন ফলোয়ার বেড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার কোরিয়ার বিরুদ্ধেও স্বপ্নের গোল করলেন স্কিলের বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে। থিয়াগো সিলভার পাস পায়ে-মাথায় নিয়ন্ত্রন করলেন তিন-বার। তারপরেই স্পেস খুঁজে বল জালে জড়িয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: CR7 নাকি CR37! রোনাল্ডোকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি এবার পর্তুগিজদেরই
বিরতির আগেই ব্রাজিলের হয়ে চার নম্বর গোল করে যান লুকাস পাকুয়েতা। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রস ধরে সাইড ভলিতে চমৎকার ফিনিশ করে যান লুকাস পাকুয়েতা।
দক্ষিণ কোরিয়াও একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে গোলকিপার এলিসনকে পেরিয়ে আর গোলের দরজা খুলতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে নামা পাইক সিঅং হো কোরিয়ানদের হয়ে একমাত্র স্বান্ত্বনাসূচক গোল করে যান।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে যে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কোরিয়া। তাতে আশা করা গিয়েছিল হয়ত শেষ ষোলোর লড়াইয়ে চাপে পড়বে ব্রাজিল। তবে কোথায় কি! ব্রাজিলের ছন্দময় ফুটবলের সামনে কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না এশীয় এই শক্তি।
ব্রাজিলের আক্রমণাত্মক ফুটবলে ডিফেন্স লাইন বারবার নিচে নেমে আসছিল। একইভাবে মিডফিল্ডও অনেকটা নিচ থেকে অপারেট করতে শুরু করে। এতে অনেকটা স্পেস পেয়ে যায় ব্রাজিল। যার পুরো সদ্ব্যবহার করলেন নেইমার, রিচার্লিসনরা।
একই দিনে এশীয়র অন্য এক পরাশক্তি জাপানও পেনাল্টি শ্যুট আউটে ছিটকে গেল ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। সেমিতে ওঠার জন্য ক্রোয়েশিয়াকে এবার পেরোতে হবে ক্রোয়েশিয়ার বাধা।