যুদ্ধের শুরুটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। গত মার্চে বিষ্ফোরকভাবে বলে দিয়েছিলেন, লাতিন আমেরিকানরা ফুটবলে ইউরোপের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এবার ফ্রান্স তারকাকে তুলোধোনা করলেন আর্জেন্টিনীয় গোলকিপার এমিলিয়ানো। বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক একদিন আগেই। যুদ্ধের উত্তাপ বাড়িয়ে মেসিদের তারকা গোলকিপার বলে দিলেন, যে বিষয়ে এমবাপে জানেন না, সেই বিষয়ে তাঁর চুপ থাকা উচিত।
কাতারে ম্যাচের একদিন আগে মার্টিনেজ বলে দিলেন, "ফুটবল সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান নেই ওঁর। ও কখনও দক্ষিণ আমেরিকায় খেলেনি। যখন ওঁর এরকম অভিজ্ঞতা নেই, তখন এই বিষয়ে ওঁর কথা না বলাই ভালো। এতে কিছু যায় আসে না। আমাদের বিশ্বে গ্রেট টিম হিসাবেই ধরা হয়।"
আরও পড়ুন: মেসির ‘অপয়া’ রেফারিই বিশ্বকাপের ফাইনালের দায়িত্বে, অপছন্দের ব্যক্তিকে দেখে হয়ত খুশি নন মহাতারকা
এর আগে ব্রাজিলিয়ান টিভি চ্যানেল টিএনটি স্পোর্টস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিলিয়ান এমবাপে বলে দিয়েছিলেন, "ইউরোপে আমাদের সুবিধা হল, আমরা নিজেদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় খেলে থাকি সবসময়। যেমন লিগ অফ নেশনস। আমরা বিশ্বকাপে পুরোপুরি তৈরি হয়েই নেমেছি। তবে ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা সেরকম লেভেলের টুর্নামেন্ট খেলেনি লাতিন আমেরিকায়। ওখানকার ফুটবল এখানকার মত এতটা অগ্রসর নয়। সেই জন্যই গত কয়েকটি বিশ্বকাপের সংস্করণে ইউরোপীয় দলগুলিই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।"
মেসি যদিও এমবাপের লাতিন আমেরিকার ফুটবল সম্পর্কে এমন মতামতের পাল্টা কিছু বলেননি। টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি একবার বলেন, "স্পেনে এই বিষয়ে আমরা বহুবার আলোচনা করেছি। আমরা যখন একবার কোয়ালিফায়ার খেলে ফিরেছিলাম, স্প্যানিশ বন্ধুদের জানাই, ওখানকার ফুটবল থেকে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন যে কতটা কঠিন বলে বোঝানো যাবে না, ভেনেজুয়েলার গরম, উচ্চতা!
ব্রাজিল কোচ তিতে এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে বলেছিলেন, "ও হয়ত ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ার নয়, নেশনস লিগ অথবা ইউরোপীয় দলগুলোর ফ্রেন্ডলি ম্যাচের কথা বোঝাতে চেয়েছে।"
এর আগে গত অগাস্টে মেসি-এমবাপের মধ্যে এক ঘটনা ঘটেছিল, যাতে উত্তাল হয়েছিল ফুটবল দুনিয়া। পিএসজিতে খেলার সময় মন্তেপিলারের বিরুদ্ধে খেলার সময় মেসির কাছ থেকে ক্রস পাননি বলে মহাতারকাকে ধাক্কাও দিয়ে বসেন এমবাপে। মেসি সেই ঘটনায় আশ্চর্য হয়ে যান।
আরও পড়ুন: মেসির হাতে কাপ উঠলেও সেলিব্রেট করবে না আর্জেন্টিনায় লিওনেলের গ্রাম! কারণ জানলে দুঃখ হবে খুব
সেই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়েন রুনি বলে দেন, "ফুটবল মাঠে এত বড় ইগো সর্বস্ব ফুটবলার আগে দেখিনি। একজন ২৩ বছরের ফুটবলার কিনা ধাক্কা দিচ্ছে মেসিকে! ওঁকে কেউ মনে করিয়ে দিক মেসি ২৩ বছর বয়সে চারবার ব্যালন ডি'ওর জিতে ফেলেছিল।"