রুদ্ধশ্বাস লড়াই। কাউকে এক ইঞ্চিও জায়গা না ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা। আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ যতটা না ট্যাকটিক্যাল লড়াই হল। তার থেকেও বেশি হয়ে উঠল শারীরিক। গোটা ম্যাচে কার্ডের ফুলঝুরি। রেফারির হাত থেকে বেরোল ১৩ টা হলুদ কার্ড। সবমিলিয়ে শারীরিক ফুটবলে দুই দলের ফুটবলাররা বারবারই একে অন্যের সঙ্গে ফাউল, চোরাগোপ্তা আক্রমণের মুখে পড়ছিলেন।
আগুনে এই ম্যাচে ঝামেলাতেই জড়িয়ে পড়লেন দুই দলের ফুটবলাররা। হাতাহাতি, ঠেলাঠেলির বেনজির ঘটনা ঘটল আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের অমর ম্যাচে টাইব্রেকার ক্ল্যাসিক! মেসির স্বপ্ন বাঁচিয়ে কমলা ঝড় থামালেন মার্টিনেজ
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের শেষদিকে সীমা ছাড়াল সেই শারীরিক ফুটবল। ৮৮ মিনিটে নেদারল্যান্ডসেড নাথান একেকে স্লাইড ট্যাকল করে বসেন আর্জেন্তিনার লিয়েন্দ্র পারেদেস। সাইডলাইনের ধারে সেই ভয়ঙ্কর ট্যাকেলের পর পারেদেস সেই বল সপাটে হাঁকিয়ে দেন সামনেই নেদারল্যান্ডস ডাগ-আউটের দিকে।
এর কিছুক্ষণ পরেই পারেদেসকে আঘাত করেন ভার্জিল ভ্যান জিক। এরপরেই পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। দুই দলের ফুটবলাররা তেড়ে এসে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। তারপরে রেফারিকে বারবার বাঁশি বাজিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই পারছিলেন রেফারি আন্তোনিও মিগুয়েল। ট্যাকলের জন্য লিয়েন্দ্র পারেদেসকেও হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
পিএসজি মিডফিল্ডার যেভাবে ডাচ সাইডলাইনকে উত্যক্ত করেছিলেন, তা মোটেই ভালভাবে নেননি ভার্জিল ভ্যান জিক। তিনি হাতাহাতি শুরু করেন পারেদেসকে মাটিতে ঠেলে ফেলে দিয়ে। তারপরেই হলুদ কার্ড হজম করতে হয় ডাচ ক্যাপ্টেনকে।
আরও পড়ুন: চোখের জলে বিদায় নিক মেসি! আর্জেন্টিনাকে এবার চরম অভিশাপ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ তারকার
ভ্যান জিক চড়াও হওয়ার পরে মাঠে নেমে আসে পুরো ডাচ বেঞ্চ। সেই সময়ে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে লিড করছিল। তবে পরিবর্ত হিসাবে নেমে বেসিকতাসের স্ট্রাইকার ওয়েঘর্স্ট জোড়া গোল করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময় এবং সেখান থেকে টাইব্রেকারে নিয়ে যান।
যাইহোক, ম্যাচ শেষে হয়ে যাওয়ার পরও এই মারামারির ইতি ঘটেনি। ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার পরেও দুই দলকে একে অন্যের ওপর চড়াও হতে দেখা যায়।