ক্রোয়েশিয়া: ২ (ভার্ডিওল, অরসিভ)
মরক্কো: ১ (অচরাফ দারি)
২০১৮-য় রানার্স হয়েছিল লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। এবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করার লড়াইয়ে মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে তিন নম্বর স্থান অর্জন করল ক্রোটরা। ম্যাচের সাত মিনিটেই ক্রোয়েশিয়াকে সেট পিস থেকে গোল করে লিড এনে দিয়েছিলেন ভার্দিওল।
তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। কিছুক্ষণ পরেই হাকিম জিয়াচের ইনসুইং ফ্রিকিক ধরে পাঁচ গজ দূর থেকে মরক্কোর হয়ে সমতা ফিরিয়ে যান আচরাফ দারি। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে মস্ত ভুল ভুল করে বসেন মাজের।
বিরতির ঠিক আগে ২-১ করে ক্রোয়েশিয়া। বাঁ দিক থেকে মিরস্লাভ অরসিভ বাঁকানো শট মরোক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বনুকে পরাস্ত করে পোস্টে লেগে গোলে ঢুকে যায়।
আরও পড়ুন: মেসির ‘অপয়া’ রেফারিই বিশ্বকাপের ফাইনালের দায়িত্বে, অপছন্দের ব্যক্তিকে দেখে হয়ত খুশি নন মহাতারকা
আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের কাছে হেরে বসার পর দুই দলই তৃতীয় স্থান দখলের যুদ্ধে নেমেছিল আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। বল পজেশনে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে ছিল মরোক্কার থেকে (৫১-৪৯)। গোলমুখী শটেও এগিয়ে মদ্রিচরা (১২-৮)। মরক্কো একদম শেষ লগ্নে সমতা ফেরানোর মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছিল। পর্তুগালকে যাঁর হেড ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে সেই ইউসেফ নাসেরির এদিনও দুর্ধর্ষ হেড থেকে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। তবে বারে লেগে তা প্রতিহত হয়।
জিতলেও ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে খারাপ খবর চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হল আন্দ্রেজ ক্রামরিককে। যিনি গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন।
এর আগে দুই দল গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ অবশ্য গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। ১৯৯৮ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে ফিনিশ করল ক্রোয়েশিয়া।