এসেছিলেন হেক্সা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে। তবে শুক্রবার ব্রাজিলের প্রস্থান ঘটে গেল বিশ্বকাপের মঞ্চে। কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদারদের টুর্নামেন্ট খতম হয়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনালেই।
নেইমার জুনিয়র কাঁদতে কাঁদতে বিদায় নিলেন বিশ্বকাপ থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে স্বপ্নের গোল করেছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও ম্যাজিক গোলে।এগিয়ে দিয়েছিলেন সাম্বা বাহিনীকে। ম্যাচ শেষ হতে তখন আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। তবে অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতেই ব্রুনো পেতকোভিচ জোরালো শটে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দিতেই বুকে দ্রিমদ্রিম দুরুদুরু শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: চোখের জলে বিদায় নিক মেসি! আর্জেন্টিনাকে এবার চরম অভিশাপ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ তারকার
তারপরে তো টাই-ব্রেকারে বিপর্যয়। প্ৰথম শট রদ্রিগোর শট বাঁচিয়ে দেন লেসকোভিচ। চতুর্থ শটে মার্কুইনহোস বারে বল লাগাতেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার ক্যাম্পে।
আর হার নিশ্চিত হওয়ার পরই মাঠেই হতাশায় নুইয়ে পড়েন নেইমার। কাতারে প্রচুর ব্রাজিল সমর্থক এসেছেন প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে। হলুদ জার্সির স্ট্যান্ডের দিকে তাকিয়েই নেইমার কেঁদে ভাসিয়ে দেন। চোখের জলে বিদায় জানান প্রিয় সমর্থকদের। কয়েকজন সেলেকাও সতীর্থ নেইমারকে স্বান্ত্বনা দিতে এলেও থামানো যায়নি মন খারাপের ঢেউ।
বিশ্বকাপ বিদায়ের পরেই ব্রাজিলের অভিজ্ঞতম তারকা থিয়াগো সিলভা অবসর নিলেন। সেই সঙ্গে পদত্যাগ করলেন কোচ তিতেও। সিলভা অবসরের কথা ঘোষণা করে জানিয়ে দিলেন, "ভীষণ কঠিন সময়। জীবনে বেশ কয়েকবার হতাশার মুখোমুখি হয়েছি। কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আসার পরেও যদি উদ্দেশ্য সফল না হয়, তাহলে তা ভীষণ যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমাদের মাথা উঁচু করেই বিদায় নিতে হবে। আর কোনও অপশন নেই।"
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের অমর ম্যাচে টাইব্রেকার ক্ল্যাসিক! মেসির স্বপ্ন বাঁচিয়ে কমলা ঝড় থামালেন মার্টিনেজ
"ম্যাচে হঠাৎ করেই আমাদের মনোসংযোগ হারিয়ে গিয়েছিল। এরকমভাবে যে প্রত্যাঘাত করা হবে, সেটা ভাবা যায়নি। নিজের কিছুটা অগোছালো হয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই গোল হজম করতে হল। এটা দুঃখের যে এই ট্রফি প্লেয়ার হিসাবে আর জেতা হবে না আমার। কে বলতে পারে, ভবিষ্যতে অন্য কোনও ভূমিকায় এই ট্রফি জিতব না!"
সেমিফাইনালে ব্লকবাস্টার লাতিন আমেরিকার যুদ্ধ দেখার অপেক্ষায় ছিল বিশ্ব। তবে শেষমেশ আর্জেন্টিনা শেষ চারের লড়াইয়ে নামছে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে।