Tilak likes to bat at 3: তিনি দলের প্রয়োজনে ভারতীয় দলের তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে রাজি বলে জানালেন তিলক ভার্মা। চেন্নাই টি২০ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তিলক তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করে ইতিমধ্যেই দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ২২ বছর বয়সি ব্যাটার গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়নে ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করেছেন। এরপর জোহানেসবার্গে ৪৭ বলে ১২০ রান করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই ভারতীয় টি২০ দলের হয়ে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিলক। তাঁর অনুরোধ রাখা হলে তিনি টানা সেঞ্চুরি করে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। শনিবার ৪ নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রান করেন। তাঁর এই দুর্দান্ত লড়াই চ্যালেঞ্জিং পজিশন থেকে ভারতকে জয় এনে দেয়।
তিলক জানিয়েছেন যে তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করতে চাইলেও, দলের জন্য যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে রাজি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে রাজি। এই ব্যাপারে আমি ফ্লেক্সিবেল। আমি আইপিএল এবং ভারতীয় দলেও বিভিন্ন পজিশনে খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে, কখনও ৩ নম্বরে ব্যাট করিনি। আমার মনে হয় ২-৩ ইনিংসে আমি তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছি। কিন্তু অন্যান্য ইনিংসে, আমি ৫, ৬, অথবা ৪ নম্বরে ব্যাট করেছি। তাই, আমি জানি ৪, ৫, এবং ৬ নম্বর পজিশনের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। দলের যেটা দরকার, আমি সেটাই করব।'
তিলক জানান, চেন্নাইয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত খেলতে চেয়েছিলেন। তিলক জানান, ' আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী পদ্ধতি বদলাতেও রাজি ছিলাম। নিজেকে বারবার বলেছি, উলটোদিকে যাই হোক না কেন, আমি শেষ পর্যন্ত থাকব। গত ম্যাচে এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে গৌতম গম্ভীর স্যারের কথা হয়েছিল। দলের চাহিদার ওপর নির্ভর করে আমি ১০-এর ওপর পর্যন্ত স্ট্রাইক রেট তুলতে পারি। এব্যাপারে আমার মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। গৌতম স্যার পানীয় বিরতিতে আমাকে বলেছিলেন, তুমি সবরকম ইনিংস খেলতে পার, সবাইকে দেখানোর এটাই সুযোগ। আমি খুশি যে লক্ষ্যে সফল হয়েছি।'
আরও পড়ুন- জোফ্রা আর্চারকে ৪-৬'এ তুলোধোনা, যন্ত্রণা দিলেন কেন! মুখ খুললেন তিলক ভার্মা
তিলক তাঁর গেম প্ল্যান এবং শট নির্বাচন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'পিচ দু'রকম গতির ছিল। এতে খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা যে গতিতে বল করছিল, তাতে রান তোলা দুষ্কর। আমি ওঁদের বলের গতি কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। উইকেটরক্ষকের পিছনের দিকে যতটা সম্ভব মারতে চেয়েছিলাম। সেটাই করেছি আর তাতে সফলও হয়েছি।'