Tilak Varma wanted to target Jofra Archer: চেন্নাই টি২০-তে জোফ্রা আর্চারের বলে কেন তিনি বেধড়ক পেটালেন, এবার তা খোলসা করে জানালেন তিলক ভার্মা। তাঁর কথায়, 'আমি ওঁদের সেরা বোলারকে টার্গেট করেছিলাম।' আর্চারের বিরুদ্ধে ভার্মা ৯ বলে ৩০ রান তোলেন। যার মধ্যে ছিল ৪টি ছক্কা। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টি২০-তে ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রান করে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তিলক। এই কারণে দ্বিতীয় টি২০-তে তিনি 'প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ' হয়েছেন।
ইংলিশ স্পিডস্টার আর্চার ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়েছেন। ১০ম ওভারে ভারতের রান ছিল ৫ উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ভার্মা ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রান করে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে ভার্মা বলেন, 'আমি ওঁদের সেরা বোলারকে নিশানা করেছিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, যদি সেরা বোলারকে চাপে ফেলতে পারি, তবে অন্য বোলাররাও চাপে পড়ে যাবে। তাই যখন আমাদের পরপর উইকেট পড়ছিল, আমি ওদের সেরা বোলারকে আক্রমণ করা শুরু করি। এতে দলেরও উপকার হয়েছে।'
ভার্মা বলেন, 'আমি স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি। নেটে যে সব শট খেলেছি, সেই সব শটই আর্চারের বিরুদ্ধে খেলেছি। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। এতেই আমার স্কোর ভালো হয়েছে।' আর্চার একেবারে খারাপ বল করেননি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। ভার্মা জানিয়েছেন, জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উডের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে তাঁকে বেগ পেতে হয়েছে। যেমন বেগ ভারতের অন্যান্য খেলোয়াড়রা পেয়েছেন, তেমনই বেগ তাঁকেও পেতে হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ভার্মা।
ভার্মা বলেন, 'আর্চার এবং উড ঘণ্টায় টানা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। এই গতির মুখে উইকেটে টিকে থাকা বেশ কঠিন। আমি তাই এই গতিকেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হয়েছি। আমাদের সব ব্যাটারই চেষ্টা চালিয়েছে। তবে, এই ম্যাচে ভালো খেলতে পারেনি। সঞ্জু, হার্দিক, সূর্য, অভিষেক বেশ ভালো খেলছে। তবে, সবার সবদিন সমান যায় না। দল যখন লড়াই করছে, তখন নিজের দক্ষতা দেখানোর একটা ভালো সুযোগ থাকেই। আমি সুযোগ পেয়েছি, সেটা কাজে লাগিয়েছি। আর, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে আমি সত্যিই খুশি।'
তিলক তাঁর শেষ ওভারে পর্যন্ত আর্চারকে পিটিয়েছেন। ১০ নম্বর ব্যাটার রবি বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে মিলে তিনি আর্চারের বলে রান তুলে যান। তিলক প্রথমে হাত খুলে মারতে দ্বিধা করলেও পরে সেই দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে পেটাতে শুরু করেন। বিষ্ণোই ১৪ বল খেলে ২টি বাউন্ডারি-সহ ৯ রান করেন। ইংল্যান্ডের স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন যখন বল করতে আসেন, তখন জিততে গেলে ভারতের ১২ বলে ১৩ রানের দরকার ছিল। বিষ্ণোইয়ের বাউন্ডারির জেরে ওভারে ৭ রান উঠে আসে।
আরও পড়ুন- ভালো দেখতে হওয়ায় পাকিস্তান দলেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে, বিস্ফোরক দাবি শেহজাদের
শেষ ওভারে ভার্মা দুই বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। তিনি বলেন, 'আসলে, আমি খেলা দ্রুত শেষ করতে চাইছিলাম। রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী ও অর্শদীপ সিং সকলেই ভালো ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের প্রতি আমার একমাত্র পরামর্শ হল, ফ্রন্টফুটে খেল। এতে কাজটা সহজ হবে। রবি বিষ্ণোই ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে এবং লিভিংস্টোনের বিরুদ্ধেও সেটাই করে দেখিয়েছেন। আমি ওঁকে বলেছিলাম লিভিংস্টোনের বিরুদ্ধে বেশি স্ট্রোক না খেলতে। শুধু ফাঁক খুঁজে বের করে মারতে। ও সেটাই করেছে। বাউন্ডারিও মেরেছে। কাজটাও অনেক সহজ করে দিয়েছে।'