Brad Hodge in dressing room damage: ড্রেসিংরুমের ক্ষতির জেরে ভয়ংকর সাজার মুখে পড়তে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্র্যাড হজ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, হোবার্টে তৃতীয় টি২০ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া হারানোর পর ড্রেসিংরুমের ক্ষতি করেছিলেন হজ।
৪৯ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ার সহকারি ব্যাটিং কোচ ড্রেসিংরুমের 'কার্পেট'-এর ক্ষতি করেছিলেন বলেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। দলের সাপোর্ট স্টাফের এই কাণ্ডে যথারীতি মুখ পুড়তে চলেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হজ ওই দিন ড্রেসিরুমের কার্পেট পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি ড্রেসিংরুমে একটি ই-বাইক এনেছিলেন। তাতেই পুড়ে গিয়েছিল কার্পেটের বিভিন্ন জায়গা। এই ব্যাপারে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, 'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচের পর হোবার্ডের ড্রেসিংরুমে ব্র্যাড হজ একটি ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে ঢুকেছিলেন। তাতেই হোবার্ডের ড্রেসিংরুমের কার্পেট বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বুমরা কি বল চাক করছেন, মুখ খুললেন এবার গ্রেগ চ্যাপেল, সরাসরি বিস্ফোরণ
ক্রিকেট তাসমানিয়ার অভিযোগের পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। সাপোর্ট স্টাফদের অন্য একজন সদস্য বেলেরিভ ওভালে ওই বাইকটি নিয়ে গিয়েছিলেন।' ক্রিকেট তাসমানিয়ার অভিযোগের পর, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও বিবৃতি দিয়েছিল। তারা এই ঘটনায় ক্রিকেট তাসমানিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। হজ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি টেস্ট, ২৫টি ওয়ানডে এবং ১৫টি টি২০ খেলেছেন।
তিনি ২০১৮ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আইপিএলে কেকেআর সহ একাধিক দলের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হজ এবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান টি২০ দলের কোচিং স্টাফও ছিলেন।
হজের কীর্তি সম্পর্কে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমরা জানি যে, অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টি২০-র পর বেলেরিভ ওভালে অস্ট্রেলিয়ান ড্রেসিংরুমে কার্পেটের কিছু জায়গায় ক্ষতি হয়েছিল। আমরা এজন্য ক্রিকেট তাসমানিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। মেরামতের খরচ সেই ব্যক্তির থেকে নেওয়া হবে, যিনি এই ক্ষতি করেছেন। তিনি যে সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করেন, সেগুলোর যত্ন নেওয়ার দায়িত্বের কথা তাঁকে এভাবেই মনে করিয়ে দেওয়া হবে।'
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অতীতেও এরকম নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে, অনেকক্ষেত্রে সেই সব অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা সরব হয়েছেন।
কিন্তু, অজিদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স কার্যত তাঁদের চুপ করিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সময়। কিন্তু, হজের ক্ষেত্রে আর সেটি হল না। তার ফলে, তিনি কার্যত কড়া সাজার মুখে পড়লেন। অনিচ্ছাকৃতভাবে বা নির্বোধের মত ড্রেসিংরুমে ই-বাইক নিয়ে চলে যাওয়ার ফলেই কাণ্ডটি ঘটেছে বলে, মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।