প্রয়াত প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ দত্ত। ময়দান আজ হারাল তার ভীষ্মকে। সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় ভবানীপুরের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশ্বনাথবাবু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জন্যই দীর্ঘদিন ময়দানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিশ্বনাথবাবুর।
১৯৮৮ সালে সর্বভারতীয় ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বিশ্বনাথ বাবু। ১৯৯০ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তার আগে ১৯৮২-৮৮ পর্যন্ত বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ -১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। আইএফএ সচিব পদেও দীর্ঘদিন পাওয়া গিয়েছে বিশ্বনাথবাবুকে। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত টানা ওই পদে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গোপাল বসুর প্রয়াণ ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি, বললেন ঋদ্ধি থেকে ঝুলন
প্রায় ৫০ বছর ক্রীড়া প্রশাসনে থাকার পর অব্যহতি নিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটে জগমোহন ডালমিয়ার গুরু হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিশ্বনাথবাবু। প্রদ্যোৎ দত্তকেও আইএফএ-র সচিব পদে এনেছিলেন বিশ্বনাথবাবু। বিশ্বনাথবাবুর ছেলে সুব্রত দত্তও পরবর্তীতে ক্রীড়া প্রশাসনে আসেন। বর্তমানে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জর্জ টেলিগ্রাফে তাঁর মরদেহ রাখা হয় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এরপর মরদেহ শায়িত রাখা হয় সিএবিতে-ও। বিশ্বনাথবাবুর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় বিশ্বনাথবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। বিশ্বনাথবাবুকে ক্রীড়া প্রশাসনের কিংবদন্তি চরিত্র হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলেই মন্তব্য সৌরভের।