Advertisment

গোপাল বসুর প্রয়াণ ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি, বললেন ঋদ্ধি থেকে ঝুলন

রবিবার সকালেই বঙ্গজ ক্রিকেটের আকাশে কালো মেঘ নেমে এসেছে। প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু। ৭১ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার ক্রীড়ামহলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gopal Bose death

গোপাল বসুর প্রয়াণ ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি, বললেন ঋদ্ধি থেকে ঝুলন

রবিবার সকালেই বঙ্গজ ক্রিকেটের আকাশে কালো মেঘ নেমে এসেছে। প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু। ৭১ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার ক্রীড়ামহলে।

Advertisment

গোপাল বসুর প্রয়াণের সংবাদে স্তম্ভিত টিম ইন্ডিয়ার দুই সদস্য় ঋদ্ধিমান সাহা ও ঝুলন গোস্বামী। দেশের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান হোয়াটসঅ্যাপে বললেন, “বাংলার ও ভারতীয় ক্রিকেটের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি গোপাল বসুর সঙ্গে সেভাবে সময় কাটাইনি। কিন্তু ক্রিকেটের অসম্ভব জ্ঞান ছিল তাঁর।” এদিন ঋদ্ধি টুইটও করেও গোপাল বসুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু

ফোনের ওপার থেকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সিনিয়র পেসার ঝুলন বললেন. “অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি। ক্রিকেটটা ওনার মতো অনেকেই বুঝতেন না। গোপাল বসুর কোনও বিকল্প হবে না। বাংলার ও ভারতীয় ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন।

সিএবি-র প্রাক্তন কোষাধক্ষ্য বিশ্বরূপ দে' র সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক গোপাল বসুর। তিনি বললেন, "একজন অসম্ভব ভদ্রলোক ও দুর্দান্ত ক্রিকেটারকে হারালাম। আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক।" বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি জানালেন যে, এদিন প্রস্তুতির আগে গোটা দল গোপাল বসুর স্মৃতিতে দু'মিনিট নীরবতা পালন করেছে। মনোজ ফোনে বললেন, " সকালেই খবরটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বিশাল ক্ষতি এটা। পারফরম্যান্স, কোচিং আর তাঁর শেখানোর ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। বাংলার অনেক ক্রিকেটার তাঁর থেকে উপকৃত হয়েছেন। আমার সঙ্গে সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানেই দেখা হতো। বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। খুব ভাল মানুষ ছিলেন তিনি। "বাংলার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরাশিষ লাহিড়ী  ও রণদেব বসু ফেসবুকে স্মৃতিচারণা করেছেন।

বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক দীপ দাশগুপ্ত ও বললেন যে, বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি জানালেন, "ক্রিকেট সম্বন্ধে অসাধারণ জ্ঞান ছিল। তেমনি ভাল ছিল সেন্স অফ হিউমর।" দীপের চোখে এখনও ভেসে ওঠে কলকাতায় তাঁর প্রথম খেলতে আসার স্মৃতি। দীপ বলছেন," ভবানীপুরের বালক সংঘের মাঠে ক্রিকেট কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার মা জিজ্ঞাসা করেছিল, আমার খেলার ব্যাপারে। গোপাল দা মুখের ওপর কথা বলতেন। সাফ বলেছিলেন, ভাল হলে খেলবে, ভাল না হলে খেলবে না, এখনও কানে ভাসে কথাটা।

Advertisment