কোহলি-শাস্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। অবশেষে স্বীকার করে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ। নির্বাচক প্রধান থাকাকালীন এমএসকে প্রাসাদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে বিজয় শঙ্করকে আম্বাতি রায়ডুর পরিবর্তে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে এখনও ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কের রেশ রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর যুবরাজ সিংকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও ছিল তাঁর।
ক্রিকেট.কম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমএসকে প্রসাদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, "একটা চালু ধারণা রয়েছে যে কোহলি-শাস্ত্রীর সামনে নিচু স্বরে কথা বলতে হয়। তবে কেউ ভাবতেও পারবে না, এঁদের মত পেশাদারিদের সঙ্গে কীভাবে তর্কে জিতবে?" কোন বিষয়ে অধিনায়ক কোহলি এবং কোচ শাস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য হয়েছিল তা অবশ্য তিনি ফাঁস করেননি।
আরো পড়ুন: ইংরেজি-ই জানেন না জাদেজা! তারকার নামে ভয়াবহ মন্তব্য করে ঝামেলায় মঞ্জরেকর
কেবল জানিয়েছেন, "সুযোগ হলে কেউ ওঁদের জিজ্ঞাসা কোরো, আমার সঙ্গে ওদের6 কেমন ঝামেলা হয়েছিল! বৈঠকের পর আমরা কার্যত পরস্পরের মুখদর্শন করতাম না। তবে ভালো লাগার বিষয় হল, পরের দিন সকালে যখন আমরা দেখা সাক্ষাৎ করতাম, ওঁরা স্বীকার করে নিত, আমার সিদ্ধান্তে কিছু সারবত্তা রয়েছে।"
প্রসাদ আরো জানিয়েছেন, "আমি ম্যানেজমেন্টের ছাত্র হওয়ার সুবাদে জানি কীভাবে সকলকে নিয়ে চলতে হয়! লোকেরা চায় আমি সর্বসমক্ষে কারোর নামে দোষারোপ করি। তবে আমি এটা কেন করব, ওটা তো আমার পরিবার! পরিবারেও অনেক সময় আমি অনেক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। তাহলে কি জনসমক্ষে পরিবারের নিন্দা করব?"
প্রসাদের আরো সংযোজন, "আমরা কীভাবে ঝগড়া করতাম, সেটা শাস্ত্রী-কোহলি নিশ্চয় জানাবে। সকলের সামনে আমাদের মতানৈক্যের কোনো ঘটনা প্রকাশ পায়নি মানে ওঁদের সমস্ত সিদ্ধান্তের সামনে যে আমি মাথা ঝোঁকাতাম, এমনটা মোটেও নয়। কেউ এটা জানেই না, কীভাবে একের পর এক বড়সড় সিদ্ধান্তে ওদের সম্মতি আদায় করেছি।"
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সার্কিটে সেভাবে পরিচিত না হওয়ার সুবাদে একাধিকবার এমএসকে প্রসাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহলে। ৪৬ বছরের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের জার্সিতে ৬টি টেস্ট, ১৭টি একদিনের ম্যাচ মিলিয়ে মোট ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। একটাই মাত্র হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন জাতীয় দলের জার্সিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন